শিগগিরই ৫-১২ বছরের শিশুদের করোনার টিকা দেওয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Uncategorized জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ
” বাংলাদেশ ধন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য ” বিএসএমএমইউ উপাচার্য


করোনা থেকে সুরক্ষায় শিগগিরই ৫-১১ বছরের শিশুদের টিকা দেওয়া হবে। কিছু দিন আগেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) অনুমোদন ছিল না। এখন অনুমোদন পেয়েছি, শিশুদের জন্য উপযোগী টিকাও আমাদের হাতে এসেছে। শিগগিরই তাদের টিকা দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) দুপুর ১২ টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম (ইপনা) আয়োজিত ‘সার্টিফিকেট কোর্স অন নিউরোডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডার’ শীর্ষক কোর্সের উদ্বোধনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠান ২০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে সনদপত্র তুলে দেয়া হয়।

তিনি বলেন, সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে ৫-১২ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা দুই কোটি ২০ লাখ। তাদেরকে জন্মসনদ দিয়ে সুরক্ষা অ্যাপে টিকার নিবন্ধন করতে হবে। যারা এখনো নিবন্ধন করেনি। তাদের অভিভাবকদের অনুরোধ করবো দ্রুত নিবন্ধন করুন।’

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক , দেশের স্বাস্থ্যখাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতে দেশ অনেকদূর এগিয়ে গেছে। স্বাস্থ্যের উন্নয়ন কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। শিক্ষা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নও হচ্ছে। টিকায় আমরা উন্নয়ন করেছি। প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন হিরো হয়েছেন। আমরা শিশু মৃত্যু হার কমিয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা দেশের সর্ব বৃহৎ বার্ন ইনস্টিটিউট করেছি। আটটি বিভাগে আলাদা বার্ন ইউনিট করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই পাঁচটি বিভাগে কাজ শুরু হয়েছে। সব বিভাগে ক্যান্সার, হৃদরোগসহ আটটি বিশেষায়িত হাসপাতাল করেছি।
তিনি বলেন, কালাজ্বর, কলেরা, ডায়রিয়া, সবকিছুই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এক সময় গ্রামের পর গ্রাম মানুষ মারা যেত। আমরা অনেক কাজ করেছি। বর্তমানে মানুষের গড় আয়ু ৭৩ বছর হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী গবেষণায় গুরুত্বারোপ করেছেন। গবেষণার মাধ্যমেই দেশ এগিয়ে যাবে। দেশে আগে বাইপাস সার্জারি হতো না, এখন অহরহ হচ্ছে। ট্রান্সপ্লান্ট হতো না, এখন হচ্ছে। আগে আমরা ওষুধ আমদানি করতাম, এখন রপ্তানি করি। টিকা তৈরির পরিকল্পনা আমরা হাতে নিয়েছি। এই কার্যক্রম পরিচালনা করতে গোপালগঞ্জে জায়গা নিয়েছি। সেখানেই সকল টিকা উৎপাদন করব।

স্বাথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা আরও এগিয়ে যাক। অর্থসহ যতো সহযোগিতা দরকার, সব আমরা দেব। বিএসএমএমইউর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল রেডি হয়ে আছে। সেপ্টেম্বরের শুরুতে আমরা উদ্বোধন করব প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।

এটি দেশের সবচেয়ে ভালো হাসপাতাল হবে আশা করি। মন্ত্রী বলেন, হাসপাতালে রোগীরা যেন ভালো সুবিধা পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। মনে রাখতে হবে, কোনো রোগীই যেন দেশের বাইরে না যায়। করোনায় কেউই বাইরে যেতে পারেনি। এতে আমাদের সক্ষমতা প্রমাণ হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুদের মাঝেও রয়েছে প্রখর মেধা। সারাবিশ্বেও আগে এমন শিশুদের অবহেলা করা হতো।

সেই অবহেলা থেকে মানুষের মাঝে এনে তাদেরকে দিয়ে কিভাবে কাজ করতে হয় তার প্রমাণ হিসেবে এই কার্ডে অর্কের আঁকা (আমন্ত্রণপত্রের ছবি) ছবি । এমন বিশেষ শিশুদের নিয়ে কাজ করছে ইপনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন শিশুদের হাতে আঁকা ছবি প্রতি ঈদের শুভেচ্ছা কার্ডে ব্যবহার করেন। পৃথীবির বিখ্যাত ব্যক্তিদের মধ্যেও অনেকে এ বৈশিষ্ট ছিল। নিউটনও তাদের মধ্যে রয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ধন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য। বিশ্বব্যাংকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে এ দেশে তিনি পদ্মা সেতু নিমার্ণ করেছেন। এটি স্বাধীনতার পর বড় একটি অর্জন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শাহীন আখতার।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, শিশু নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুন্ডু প্রমুখ।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *