মোল্লা মামুন (খুলনা) ঃ
খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে গত সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টায় খুলনার বানিয়া খামার মৌজার চার দশক ভোগ-দখলীয় বসতভিটা জবরদখলের চেষ্টা, বাড়িতে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর-মারপিট, সন্ত্রাসী তান্ডব ও হয়রানিমূলক মামলা দায়েরের প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী পারভীন আক্তার।
তিনি বলেন,নগরীর ৪৭, ফরাজীপাড়া মেইন রোডস্থ তিন শতক জমিতে সাড়ে চার দশক ভোগ-দখলীয় বসতভিটা জবরদখলের চেষ্টা করছেন স্থানীয় এক ভূমিদস্যু চক্র।আইনগতভাবে না পেরে সম্প্রতি তার নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বাড়িতে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর এবং বেধড়ক মারপিট করে।এমনকি উল্টো তাদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা করে।
তিনি জানান,খুলনার বানিয়াখামার মৌজার এসএ খতিয়ান ২০৭৪ এসএ ৪৭২৬ দাগে ৩ শতক সরকারী খাস সম্পত্তি ডিসিআর নিয়ে ৪৫ বছর বসবাস করে আসছেন।অথচ দীর্ঘদিন ধরে এই সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা করছেন পাশ্ববর্তী বাসিন্দা নকুল রায়ের পুত্র নিরোজ রায় ও তার পুত্র বিধায়ক রায় বাবাই।
নিরোজ কুমার রায় উক্ত সম্পত্তি বাবদ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আদালতে ভি পি মিস -৪/৮৩ নং মোকদ্দমা করে পরাজিত হয়েছেন। পরাজয়ের পর উক্ত আদেশর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) আদালতে মিস আপীল- ১৬০/৯৮ মামলা করলে সেখানেও নিরোজ কুমার রায় পরাজয় বরণ করেন।
উল্লেখিত পরাজয় বরনকৃত রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে এবং খাস -দখল ও স্বত্ত্ব প্রচার বাবদ যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে দেঃ ৩২/৯৮ নং মোকাদ্দমা করলে ২০০৪ সালের ২৭ এপ্রিল দোতরফা সূত্রে খারিজ হয়।
উক্ত খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে দেওয়ানী আপীল ৯৮/০৪ নং মোকদ্দমা আনায়ন করেন।অতিরিক্ত জেলা জজ ২য় আদালতে প্রেরন করেন এবং অতিঃ জেলা জজ ২য় আদালতের বিচারক ২০০৮ সালের ১২ আগস্ট দোতরফা সূত্রে উক্ত মোকদ্দমা খারিজ হয়।
উক্ত খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্ট সিভিল রিভিশন ৮১৫/০৯ মকদ্দমা আনায়ন করলে উহা দোতরফা সূত্রে ২০১৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর খারিজ হয়।ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট আপীল বিভাগে লীভ টু আপীল আনায়ন করলে সেটাও খারিজ হয়।অর্থাৎ সরকারি সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে থাকে এবং আমাদের নামেই বন্দোবস্ত ও ভোগ-দখলে রয়েছে। আইন-আদালতের মাধ্যমে না পেরে এখন পেশীশক্তির বলে সন্ত্রাসী বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়েছে বলে জানান পারভীন আক্তার।