নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মিরপুর বেড়িবাধের রাস্তায় যারা যাতায়াত করেন তারা অনেকেই লক্ষ্য করবেন রাস্তার দুই পাশে কিছু মাছ বিক্রেতা বসে থাকেন জিওল মাছ নিয়ে (শিং,মাগুর,কৈ)।বিরুলিয়া থেকে নবাবের বাগ পর্যন্ত প্রতি ১/১.৫ কি:মি: পরপরই একজন করে পাবেন যারা বালতি আর বড় সিলভারের ডালায় করে মাছ সাজিয়ে বসে থাকে।
এদের জিজ্ঞাসা করলেই বলবে দেশী বিলের মাছ।এরা মাছগুলো ঠিকা বা আনুমানিক একটা দাম ধরে বিক্রি করে।প্রতিজনের কাছেই কৈ,শিং,মাগুর সব মিলিয়ে আনুমানিক ২/২.৫ কেজি করে মাছ থাকে,যার দাম তারা কাষ্টোমার বুঝে ৩হাজার থেকে ৫হাজার পর্যন্ত চেয়ে থাকে!
এই মাছগুলো আসলে মোটেও দেশী বিলের মাছ নয়।রাজশাহী এবং নঁওগা এলাকার চাষের মাছ এগুলো।এগুলোকে কৃত্তিম রং মিশিয়ে এরা ডালায় সাজিয়ে দেশী বলে বিক্রি করে।চাষের মাছ খাওয়া দোষের কিছু নয়,তবে এরা প্রতারনা করে দেশী মাছ বলে সস্তা চাষের মাছ বেশী দামে বিক্রি করছে এটাই দোষের।
এছাড়াও এই একই রূটে এবং পূর্বাচল ৩০০ফিট রূটে দুপুরের পরে মিনি ট্রাকে করে একদল মাছওয়ালা পদ্মা এবং যমুনা নদীর মাছ বলে বার্মা থেকে আমদানীকৃত প্রিজারভেটিভ দেয়া বিশালাকারের ফ্রোজেন রুই, কাতলা, বোয়াল এবং বাঘাড় মাছ বিক্রি করে। এরা তো আরও বড় প্রতারক!
সুতরাং যারা এসব মাছ কিনে খান বা যাওয়া-আসার পথে দেখতে দেখতে কেনার পরিকল্পনা করছেন তারা একটু ভেবে-চিন্তে কিনবেন আশা করি।