নিজস্ব প্রতিবেদক : সমবায় বিধিমালা ও দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ(কালব) এর উপ-আইন লংঘন করে বার্ষিক সাধারন সভায় অনুমোদন ব্যতিরেকে পকেটস্থ লোকজন দিয়ে ইন্টারনাল অডিট কমিটি গঠন করেছে ”অবৈধ” চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরিফিকেশন।এবিষয়ে বার্ষিক সাধারন সভায় প্রতিবাদও জানানো হয়েছে।
সূত্রমতে, কালবের উপ-আইনের ব্যবস্থাপনা কমিটির কার্যক্ষমতা সংক্রান্ত ৩১ অনুচ্ছেদের (ত) উপ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- ” প্রয়োজন মাফিক উপ-কমিটি গঠন এবং সমবায় সমিতি বিধিমালা-২০০৪ এর বিধি ১০২ অনুযায়ী তিন সদস্যের একটি অভ্যন্তরীণ হিসাব নিরীক্ষক কমিটি গঠন করা;” অন্যদিকে সমবায় সমিতি বিধিমালা ২০০৪ এর ১০২ বিধির (৪) উপ-বিধিতে বলা হয়েছে-”যেই সকল সমবায় সমিতির কার্যকরী মুলধন এক কোটি টাকার উর্ধ্বে ,সেই সকল সমিতিতে অন্যুন তিন জন সদস্য সমন্বয়ে একটি অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কোষ থাকিবে এবং উক্ত তিন জন সদস্য সাধারন সভা কর্তৃক তিন বছরের জন্যে মনোনিত হইবেন”।
অথচ প্রায় ১২০০ কোটি টাকা মুলধন সম্পন্ন জাতীয় পর্যায়ের সমবায় সমিতি কালবের গুরুত্বপূর্ন একটি কমিটি চেয়ারম্যান তার একান্ত অনুগত ও কালবের কাঠামো এবং ক্রেডিট ইউনিয়ন সম্পর্কে অনভিজ্ঞ লোকজন দিয়ে ইন্টারনাল অডিট কমিটি গঠন করেছে। প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে কালবের ৩৬তম এবং বর্তমান বোর্ডের ১ম বার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয় চলতি বছরের ১৬ জুন। অথচ ১৬ মে ইন্টারনাল অডিট কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বার্ষিক সাধারন সভায় কালব বোর্ডের সাবেক পরিচালক ও বিশিষ্ট সমবায়ী রাশেদুজ্জামান ঝিলাম আলোচনা পর্বে প্রশ্ন তোলেন- বার্ষিক সাধারন সভার অনুমোদন ছাড়া কিভাবে ইন্টারনাল অডিট কমিটি গঠন করা হয়েছে। চেয়ারম্যান কোন সদুত্তর প্রদান না করে এবিষয়ে আলোচনার সুযোগ বন্ধ করে দেন।
জানাগেছে, ইন্টারনাল অডিট কমিটির আহবায়ক পরিচালক জিল্লুর রহমান,সদস্য ডেভিড প্রবিন রোজারিও(দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি: এর পরিচালক) এবং সুব্রত রোজারিও কালবে নবাগত। কালবের পরিচালনার সাথে তারা পূর্বে সম্পৃক্ত ছিলনা।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে,একটি প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা,জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় ইন্টারনাল অডিট কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যে কারনে অভিজ্ঞ ও সৎ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে এই কমিটি গঠন করতে হয়। কালবের বিগত বোর্ডের ইন্টারনাল অডিট কমিটি খুবই শক্তিশালী ছিল। বর্তমানে অনভিজ্ঞ ও নৈতিকভাবে দুর্বল লোকজন নিয়ে অডিট কমিটি করা হয়েছে যাতে অনিয়ম দুর্নীতি প্রকাশ না পায়।আগষ্টিন পিউরিফিকেশন’র বেআইনী ভাবে দখল করে রাখা অপর সমবায় সমিতি দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি: কে তিনি পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিনত করেছেন।
সেখানেও ইন্টারনাল অডিট কমিটি আছে ঠিকই তবে তা অকার্যকর করে রেখেছেন।সমবায় অধিদপ্তরের অডিটে বারবার আপত্তিও করা হয়েছে। কালব-কেও তিনি দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি: এর ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানে রুপান্তরের অপচেষ্টা করছেন।অন্যান্য কমিটিও তিনি তার ইচ্ছামত পছন্দের অনুগত লোকজন দিয়ে করেছেন।বোর্ড সভাকে পাশ কাটিয়ে নিজের মত সিদ্ধান্ত গ্রহন করছেন।
বিভিন্ন বিষয় বোর্ড সভায় পূর্ণাঙ্গ আলোচনা না করে বলেন নির্বাহী সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবেন। অথচ নির্বাহী সভায় আলোচনা না করে তিনি যেভাবে বলেন ”মেরুদন্ডহীন জেনারেল ম্যানেজার” সেভাবে তার প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। পরে দেখা যায় বোর্ড সভায় যা আলোচনা হয়নি তাও রেজ্যুলুশনে উঠে আছে।