নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক ডেপুটি সার্জেন্ট-এট-আর্মস এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপকমিটি সদস্য স্কোয়াড্রন লীডার (অবঃ) সাদরুল আহমেদ খান (অব) বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে সবসময় একটি শক্তিশালী সহস্রবাহিনী গঠন করতে চেয়েছেন, তাই ছয় দফা আন্দোলনে অন্যতম দাবি ছিল প্রাদেশিক সরকারের কর্তৃতাধীন একটি নিজস্ব সহস্র বাহিনী।
১৯৬৮ সালে ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুর সাথে অভিযুক্তরা ছিলেন বাঙালি সামরিক সদস্যবৃন্দ। ১৯৭১ সালে ২৬ শে মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণার পরপরই বাঙালি বিমান বাহিনীর সদস্য বৃন্দরা পাকিস্তানি সেনা নৌ ও বিমান বাহিনীর ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধের ঝাঁপিয়ে পড়েন, অনেকে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পালিয়ে ভারতে এসে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে ৭ ই এপ্রিল বঙ্গবন্ধু তিন বাহিনীর জন্য আলাদা আলাদা সদর দপ্তর এবং বাহিনী প্রধান নিয়োগ করেছেন।
বিমান বাহিনী উন্নয়ন ১৯৭২ থেকে ৭৫ নবগঠিত বিমান বাহিনীর জন্য বঙ্গবন্ধু ঢাকা-চট্টগ্রাম ও যশোরে বিমান ঘাঁটি স্থাপন করেছিলেন, বিমান বাহিনীর জন্য নিয়ে এসেছিলেন যুদ্ধ বিমান মইটৃতি ওয়ান পরিবহন বিমান আন্তনা ২৬ হেলিকপ্টার এমআই ফোর এবং আকাশ প্রতিরক্ষক ব্যবস্থা।
বিমান বাহিনী উন্নয়ন ১৯৯৬ থেকে ২০০১ আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ থেকে ২০০১ মেয়াদে বাংলাদেরশ বিমান বাহিনীর বহরের যুক্ত করেছিলেন আধুনিক যুদ্ধ বিমান মিড টোয়েন্টি নাইন পরিবহন বিমান সি ১৩০ হেলিকপ্টার এমআই -১৭ এবং আকাশ প্রতিরক্ষক রাডার বিমান।
বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন ২০০৮ থেকে চলমান এ সময় সরকার বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জন্য ঢাকায় বিমান বাহিনী ঘাটি বঙ্গবন্ধু এবং কক্সবাজারে বিমানবাহিনী ঘাটি শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন।
সিলেট ও বরিশালের দুটি নতুন বিমান ঘাঁটি স্থাপনের কাজ হচ্ছে। বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট বি অফ বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স ওয়ান অফ থ্রি ট্রান্সপোর্ট ট্রেইনার ওয়ানো ফাইভ জেট ট্রেনার এর প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার।
আওয়ামী লীগ সরকারই প্রথমবারের মতো বিমান বাহিনীতে যুক্ত করেছেন ৩ সারফেস টু এয়ার মিসাইল ইউনিট। বরিশাল ও কক্সবাজারের স্থাপিত হয়েছে দুটি রাডার ইউনিট। ঢাকা-চট্টগ্রাম যশোর ও পাহাড় কাঞ্চনপুরে পুরাতন ফ্রেজ আউট রাডার গুলো পুনরায় স্থাপন করা হয়েছে। টু অর সেভেন টু অর ফোর ও টু ওয়ান সিক্স মেইন্টেইনেন্স রিপেয়ারিং এবং ওভারলিং ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে যুদ্ধবিমান সহ বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ এবং ওভার রোলিং এর জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু এরানটিক্যাল সেন্টার।
ফরোয়ার্ড অপারেশন বেইজ্ডএবং এয়ার ডিফেন্স নোটিফিকেশন সেন্টার স্থাপন করেছেন সরকার এই মেয়েদের আওয়ামী লীগ সরকার বিমানবাহিনীর বহরের যুক্ত করেছেন অত্যাধুনিক সব যুদ্ধবিমান কেএইডব্লিউ এয়ার-১৩০ এফ সেভেন বিজিয়াই গ্রোক জি ১২৭০ পরিবহন বিমান এল-৪১০ ৩১৩০ জেড হেলিকপ্টার mi one71, এ ডাব্লু-১৩৯।
সরকার আরও যুক্ত করেছে এয়ারক্রাফট এবং হেলিকপ্টার ফ্লাইং স্যামিউলেটর ইউ এভি এরিয়াল ফায়ার ফাইটিং ইউনিট। ২০২০ সালে বিমান বাহিনীতে রিক্রুটেড এ নারী বিমান সেনা পাসিং আউটের মাধ্যমে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করল আওয়ামী লীগ সরকার। মেধাবী চৌকস ও দেশপ্রেমী নারীদের এই পবিত্র পেশায় নিয়োগের মাধ্যমে সহস্র বাহিনীকে সমৃদ্ধ করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী নিজস্ব বিশেষজ্ঞ দ্বারা সফটওয়্যার তৈরি করে সাইবার সিকিউরিটি ও নেটওয়ার্ক সেন্ট্র্রীক ওয়ারফেয়ারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার। আওয়ামী লীগ সরকার বিমান বাহিনীতে যুক্ত করেছেন অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, পরিবহন বিমান, হেলিকপ্টার ইউ এ বি এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।বিমান বাহিনীতে প্রথমবারের মতো সংযুক্ত হয় ৩০১ এয়ার মিসাইল ইউনিট।
পরিশেষে এ কথা বলাই যায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে কাজ করেছে। আওয়ামী লীগ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শই ও বঙ্গবন্ধুর চেতনায় উজ্জীবিত সহস্র বাহিনী বাংলাদেশের অহংকার।