মানুষের মানবিকতা ফেরাতে পারে কবিতা: তথ্যমন্ত্রী

Uncategorized

নিজস্ব প্রতিবেদক : একবিংশ শতাব্দীতে মানুষ যেমন যন্ত্রনির্ভর হয়ে পড়ছে তেমনি নিজেই যন্ত্রের মতো হয়ে পড়ছে। মানবিকতা লোপ পাচ্ছে। মানুষ ক্রমাগত অনুভূতিহীন হয়ে পড়ছে এবং ক্রমাগতভাবে আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। এই প্রেক্ষাপটে কবিতার এবং কবিতা লেখকদের একটা বিরাট ভূমিকা আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) অষ্টাদশ আন্তর্জাতিক লেখক দিবস- ২০১৯ উপলক্ষে বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।


বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আপনারা একটি শ্লোগান নির্ধারণ করেছেন- শান্তির পৃথিবী চাই, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ চাই। অত্যন্ত চমৎকার একটি শ্লোগান। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে- গত শতকে যখন মানুষ পৃথিবী ছাড়িয়ে চাঁদে গেছে। এই শতকে যখন মঙ্গলগ্রহে যাওয়ার চেষ্টা করছে। মুহূর্তের মধ্যে ঘটনা যখন বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ছে। মানুষ পাতালেও বসতবাড়ি নির্মাণ করছে, এখন মহাশূন্যেও নির্মাণের চেষ্টা করছে। অনেক মানুষের বিত্ত-বৈভব প্রাচুর্য এমন পর্যায়ে গেছে সেটি খরচ করার জায়গা পাচ্ছে না। এই প্রেক্ষাপটে পৃথিবী কিন্তু শান্তিময় নাই।

তিনি বলেন, আজকে যে বছরটি শেষ হতে যাচ্ছে, এই পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি শরণার্থী যে কটি বছরে ছিলো তার মধ্যে এই বছরটি অন্যতম। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আজকে জাতিগত সংঘাত চলছে এবং পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় মানুষ মানুষের সঙ্গে লড়াই করছে। একবিংশ শতাব্দীতে আরেকটি বাস্তবতা আমাদের সামনে দাঁড়িয়েছে- মানুষ ক্রমাগত যন্ত্রনির্ভর হয়ে গেছে। একই সঙ্গে মানুষও যন্ত্রের মতো হয়ে যাচ্ছে। মানুষের মানবিকতা লোপ পাচ্ছে। মানুষ ক্রমাগত অনুভূতিহীন হয়ে পড়ছে, ক্রমাগতভাবে আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি কবিতার, কবিতার লেখকদের একটা বিরাট ভূমিকা আছে। কবিতা মানুষকে মানবিক হতে শেখায়। কবিতা মানুষের মানবিক গুণগুলোকে সংরক্ষণ করতে সহায়তা করে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি, আপনাদের শ্লোগান এবং পদযাত্রা অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষুধাকে জয় করতে পেরেছে দাবি করে হাছান মাহমুদ আরো বলেন, আজকের এই পৃথিবীতে ক্ষুধা থাকার কথা ছিলো না। ক্ষুধাকে আমরা জয় করতে পারিনি। পৃথিবীর দশজন মানুষের অর্ধেকে খাবার নষ্ট করে আবার দশ জনের চারজনে খাবার পায় না। আজকে আমরা স্বপ্নের বাংলাদেশ রচনা করার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বহুদূর এগিয়ে গেছি। আমরা আগে বলতাম, ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ চাই। ইতিমধ্যে আমরা ক্ষুধাকে জয় করতে সক্ষম হয়েছি। কারণ, বাংলাদেশ এখন খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশ। সন্ধ্যার পরে কিংবা ভর দুপুরে শহরের অলিতে-গলিতে কিংবা গ্রাম গ্রামান্তরে এখন আর ডাক শোনা যায় না- মা আমাকে একটু ভাত দে। বাসি ভাতের সমস্যা আমরা সমাধান করতে সক্ষম হয়েছি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *