প্রতিভা থাকার পরেও মূল্যায়ন হয়নি মানিকগঞ্জের  সোলায়মানের 

Uncategorized জাতীয় জীবনী ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ সাহিত্য

মোঃ আরিফুর রহমান অরি,(মানিকগঞ্জ)  : মানিকগঞ্জ জেলা কে বলা হয় শত মানিকের বাসস্থান কিন্ত জেলার সাটুরিয়া থানাদিন গোলড়া গ্রামের বাসিন্দা সোলাইমান। বিভিন্ন ধরনের সুর ও গান লেখার প্রতিভা থাকার পর ও পাচ্ছে না সঠিক মূল্যায়ন।


বিজ্ঞাপন

মানিকগঞ্জ সহ দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে তার মত বহু প্রতিভাবান শিল্পী, সুরকার ও সাহিত্যিক। সুযোগ এর অভাবে সম্ভাবনাময় অনেক প্রতিভার অপমৃত্যু ঘটছে হর হামেশা।প্রতিভার যথাযথ মূল্যায়ন বর্তমানে অনুপস্থিত। এমনি এক প্রতিভা সম্পূর্ণ গীতিকার, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী সোলাইমান।

প্রতিভাবান ব্যক্তির অসাধারণ সৃজনীশক্তি, ব্যতিক্রমধর্মী বুদ্ধিমত্তাবিশিষ্ট গুণাবলী বিশেষ। অন্তঃর্নিহিত ব্যতিক্রমধর্মী বুদ্ধিবৃত্তি চর্চার সক্ষমতা, সৃজনশীলতা অথবা জন্মগত ও প্রকৃতিগতভাবে একে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে সক্ষম হন।

এ গুণাবলীর অধিকারী যিনি প্রতিভাবান হিসেবেই পরিচিত। সোশ্যাল মিডিয়া এখন কেবল যোগাযোগ মাধ্যম নয় সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেক প্রতিভা প্রকাশিত হচ্ছে। নিজেদের মেলে ধরেছেন বহু অনামী প্রতিভাবান শিল্পীরা। আগে রিয়েলিটি শোতেই একমাত্র নতুন শিল্পীদের পরিচয় সামনে আসতো কিন্তু বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে বাংলাদেশের আনাচে কানাচে থাকা প্রচুর প্রতিভা সামনে আসার সুযোগ পাচ্ছে।

এমনি একজন মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানাদিন ধানকোড়া ইউনিয়নের গোলড়া গ্রামের নূর বেপারীর ছেলে মোঃ সোলায়মান। ছোট বেলা থেকেই যার গান লেখার প্রতি প্রবল ইচ্ছা থাকার করনে, আজ তিনি হয়েছে গীতিকার ও সুরকার। কোনো মাধ্যম না থাকার কারনে তার প্রতিভা বিকশিত করতে পারছে না।

সোলাইমান বলেন, ‘আমি ছোট বেলা থেকেই বিভিন্ন শিল্পীর গান শুনতাম তখন থেকেই গান লেখার ইচ্ছা শক্তি মনের ভেতর তৈরি করি। দুই এক লাইন করে লেখার চেষ্টা করি কিন্ত সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি করতে ব্যার্থ হয় কিন্ত আশা ছেড়ে দেইনি কখনো । মানিকগঞ্জের বিভিন্ন গুণী শিল্পীদের কাছে গিয়ে যখন আমার গান পরিদর্শন করতাম তখন অনেক ভুল ধরতেন। কিন্ত কখনো হাল ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করিনি। তার তিন বছর পর গান রচনায় পারদর্শিতা অর্জন করলেও একজন আমার গান নিয়ে নিজের নাম দিয়ে প্রচার করেছে । প্রতারিত হয়েছি আমি, মাধ্যম না থাকলে যা হয় আর কি!

মানিকগঞ্জের অনেক মানিক আছে ও দেশের অনেক গুনি পরিচালক আছে। তারা যদি আমাকে একটু সুযোগ করে দিতেন তাহলে আমার গান লেখা ও সুর করা সার্থক হতো।’

এলাকাবাসী জানান, ‘যোগ্যতাই শিল্পী মূল্যায়নের মাপকাঠি হওয়া উচিত। দেশিও অঙ্গনে যোগ্যতা মূল্যায়নের মানুষ কমেছে, লবিংবাজি বেড়েছে।তার গান লেখা ও সুরকরা ও গান গাওয়ার কন্ঠ অসাধারণ হলেও পায়নি মূল্যায়ন। মাঝে মাঝেই বিভিন্ন ডান্স একাডেমির ভিডিও দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় কিন্ত গীতিকার, সুরকারদের প্রতিভা সবার সামনে আসে না। তারা মিডিয়ার পিছনেই থেকে যায় সব সময় । তার প্রতিভার সঠিক মূল্যায়ন করা হলে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনবেন।’

বাংলাদেশে অনেক টিভি চ্যানেলে গায়ক খোজার জন্য রিয়েলিটি শো হলেও গীতিকার বা সুরকারদের জন্য কোনো রিয়েলিটি শো নেই। বাংলাদেশের অনেক গ্রাম অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের প্রতিভাবান মানুষ আছে বা গীতিকার বা সুরকার আছে কিন্ত মিডিয়ার অভাবে তা প্রচার করতে পারছে না।কোনো মাধ্যম না থাকার কারনে তাদের প্রতিভা মনের ভিতর বা চার দেয়ালের ভিতরে থেকে যাচ্ছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *