সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলা তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা খলিষখালি ইউনিয়নের দলুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুশান্ত মন্ডল এর বিরুদ্ধে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার খাতায় স্বাক্ষর জন্য ৩২০ টাকা করে নেওয়ার ও পিওন তরুণকে দিয়ে ক্লাস নেয়ার অভিযোগ উঠেছেন।
এ ব্যাপারে দলুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় এক ছাত্র জানান আমাদেরকে ডেকে সহকারী শিক্ষক পূর্ণ চন্দ্র নামে এক কৃষি স্যার ও সহকারী শিক্ষিকা দরতি সুলতানা বলেন যে ৩২০ টাকা না দিলে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার খাতায় প্রধান শিক্ষক স্বাক্ষর করবে না আমরা বাধ্য হয়ে মা বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে এসে সহকারী শিক্ষক পূর্ণ চন্দ্র কৃষি স্যার ও সহকারী শিক্ষিকা দরতি সুলতানের কাছেই দিয়েছি তিনি আরো বলেন আমাদের দলুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় পিওন তরুণকে দিয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়মিত ক্লাস নাই এসব কথা আমরা বলতে গেলেই এই প্রধান শিক্ষক সুশান্ত মন্ডল আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে যেন আমরা এটা সাংবাদিকদের না বলি আমার
এ ব্যাপারে অনুসন্ধানে গেলে নাম না বলা অভিভাবক জানান দলুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় সব সময় দুর্নীতি চলে এর আগেও একটা নিয়োগ বাণিজ্যায় অভিযোগ উঠেছিল সেটাও নিউজ হয়েছিল কিন্তু তাতে কোন কাজ হয় নাই এবার আমাদের সন্তানদের ডেকে নিয়ে শিক্ষক পূর্ণ চন্দ্র নামে এক কৃষি স্যার ও শিক্ষিকা দরতি সুলতানা বলেন প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার খাতায় স্বাক্ষর করতে গেলেই ৩২০ টাকা লাগবে না হলে হবে না পরবর্তীতে আমরা শিক্ষকদের কাছে জানতে চাইলে আমাদের বলেন এসব আপনাদের জেনে লাভ নাই ৩২০ টাকা না দিলে প্রধান শিক্ষক স্বাক্ষর করবে না তিনি আরো বলেন এই দলুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় পিওন তরুণকে দিয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়মিত ক্লাস করা যেখানে একজন পিয়ন নিয়মিত ক্লাস করেন সেখানে আমাদের সন্তানরা কিভাবে ভালো ভাবে লেখাপড়া করবে
উর্দ্ধতন কর্মকর্তা হস্তক্ষেপ ও সুদৃষ্টি কামনা করছি
এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষিকা দরতি সুলতানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টা শিক্ষা অফিসার ফিরোজ আহমেদ জানে শুধু আমরাই নয় আরো অনেক স্কুল থেকে টাকাটা নিচ্ছে আর তিনি আরো বলেন তালা উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফিরোজ ভাই আপনাকে কি বলেছেন তখন সাংবাদিক বলেন শিক্ষা অফিসার ফিরোজ ভাই বলেছেন যদি কোন দুর্নীতি করে থাকে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তখন দরতি সুলতানা বলেন শিক্ষা অফিসার এমন কথা বলতেই পারেনা বলে ফোনটা কেটে দেন।
এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষক পূর্ণ চন্দ্র কাছে জানার চেষ্টা করলেই তার ব্যবহারিত মোবাইল ফোনে কল দিয়েই ফোনটা না রিসিভ না করার কারণে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক সুশান্ত মন্ডল কাছে জানতে চাইলেই তিনি বলেন আমি আগে বিষয়টা জানতাম না আপনি বলার পরে আমি বিষয়টা শুনেছি আমাদের একজন সহকারী শিক্ষাক ও শিক্ষিকা টাকাটা নিয়েছে পিওন তরুণকে দিয়ে ক্লাস করানোর কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা তবে আমি চাচ্ছি বিষয়টা নিয়ে নিউজ না করাই ভালো হবে আপনি এসে এক সময় দেখা করেন।
এ ব্যাপারে তালা উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফিরোজ আহমেদ প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার জন্য কোন টাকা নেওয়ার অনুমতি নাই আমি সবে মাত্র আপনার মুখ দিয়ে শুনলাম যদি প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার জন্য টাকা নিয়ে থাকে অবশ্যই সে শিক্ষক দের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।