নিজস্ব প্রতিবেদক, (কুমিল্লা) : গত দুই দিনের টানা ভারীবর্ষণ ও বৃষ্টিপাতের ফলে এবং ভারত থেকে আসা ঢলের পানিতে কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারতের ত্রিপুরা থেকে খরস্রোতা পানিতে গোমতীর চরের ফসলী জমিসহ শতশত বাড়ি ঘর ভেসে গেছে। বেরী বাঁধের ভেতরের ঘর-বাড়ি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
২১ আগষ্ট (বুধবার) বিকেলে আড়াইওরা রেললাইনের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, স্থানীয় লোকজন গোমতীর বুড়িচং অংশে বস্তা ফেলে বাঁধ রক্ষার কাজ করছে। পানি নদীর আইল (বেড়িবাঁধ) ছুঁই ছুঁই করছে।
পানি দৃশ্য দেখতে আসা রিতা রাণী মজুমদার ও অর্পিতা সরকার বলেন, প্রবল ভারী বর্ষণের কারণে ভারত থেকে পানি এসে গোমতীর চর প্লাবিত হয়েছে। কয়েকটি স্থানে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে বেড়িবাঁধ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
তারা আরও বলেন- গোমতী নদীর পানি বিপদ সীমা ছুঁই ছুঁই দৃশ্য দেখতে কুমিল্লা আড়াইওরা রেল সেতুতে বিভিন্ন বয়সের নর-নারীর ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো। কেউ ফেসবুকে লাইভ করছেন কেউবা টিকটিক করছেন।
আজ সন্ধ্যার আগে সেনাবাহিনী এসে মানুষকে সরিয়ে দেয়। বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাহিদা আক্তার বলেন, গোমতীর বেড়িবাঁধের ছয় স্থানে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে (বেড়িবাঁধ) ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয় লোকজন মিলে বস্তা দিয়ে মেরামত করছে। আমরা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করছি এবং ইত্যিমধ্যে কিছু বিতরণও করছি।
তিনি আরো বলেন, বৃষ্টি পড়া বন্ধ হয়ে গেলে বিপদ কেটে যাবে। এখনো বড় ধরণের কোনো বিপদ হয় নাই। বুড়িচং উপজেলার কংশনগর এলাকায় দুটি, গোবিন্দুপুর এলাকায় দুটি, কাহেতরা এলাকায় একটি এবং ভান্তি এলাকায় একটিসহ বেড়িবাঁধের ছয়টি স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।