ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : কখনো সাংবাদিক, কখন পরিবহন ব্যবসায়ী, কখনো হাউজিং ব্যবসায়ী, কখনো ভুমি নামজারী দালাল বা মধ্যস্ততাকারী রূপে জাগ্রত থেকেও ক্ষান্ত হননি ভারতের দালাল বা রয়ের এজেন্ট অমিত রায়। অমিত রায়ের কর্মপদ্ধতির সাথে রয়েছে সাবেক এমপি মোহিত উর রহমান শান্ত উপদেষ্টা। ২০০৮ সালে পরে যাকে দেখা যেতো পরিবারের ক্ষুদা নিবারনের জন্য নির্মান কোচিং সেন্টার এবং বিভিন্ন বাসায় গিয়ে ছাত্র পড়ানোর কাজে ব্যস্ত।

হটাৎ সেই অমিত রায় সাবেক এমপি মোহিত উর রহমান শান্ত’র সুপারিশে আরেক ভয়ংকর মুক্তিযোদ্ধা যুগান্তর সাংবাদিক আতাউল করিম খোকনের কম্পিউটার অপারেটর। আতাউলকে কেন ভয়ংকর মুক্তিযোদ্ধা বলা হলো তার একটা কারন রয়েছে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আতাউল করিম খোকন তার ছেলেকে ভর্তি করিয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ে।

পরে অবৈধ পথে মুক্তিযোদ্ধা সনদ আবিস্কার করতে ব্যর্থ হলে খোকনের ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যথাযথ সম্মানের সাথে তিরস্কার করা হয়েছি বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সুত্র নিশ্চিত করেন। এখন আবার ফিরে আসি জুয়া ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের অন্যতম শেল্টার দাতা অমিত রায়ের ভুবনে।
খোকনের ছত্রছায়ায় এবং শান্ত’র ঘনিষ্ঠ জন হওয়ার সুবাদে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সদস্য হয়ে যান।শুরু হলো অমিতের কারিশমা দেখানোর বিশাল পরিধি।গড়ে তুলে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে জুয়া আসর।ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের অন্যান্য সদস্যদের নাম ভাঙ্গিয়ে তুলতে থাকেন মোটা অংকে টাকা।
এই খবর আচ পেয়ে এম এ মোতালেব নামক সিনিয়র সাংবাদিক ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন প্রতারক বা চিটিংবাজ অমিত রায়ের বিরুদ্ধে।
পরবর্তীতে আতাউল করিম খোকনসহ অপেশাদার ও সরকারের বেতন ভুক্ত আমলা এবং কতিপয় ক্লাব সদস্যদের রসালো মাল সাপ্লাই দিয়ে সদস্য পদ হারানো থেকে রক্ষা পায় অমিত রায়।
সেই ধাপ পেরিয়ে ক্লাবের সাধারন সম্পাদক হওয়ার যুদ্ধে এগিয়ে যান এবং সফল হন অমিত। সেই থেকে কয়েক বছরে ভারত এবং বাংলাদেশে বিশাল সম্পদের বাগান তৈয়ারি করতে সক্ষম হয়েছেন।
বৈষম্যের কারনে এদেশ থেকে রাসেলস ভাইপার এর মত হাসিনার সৈরশাসনের বিদায় হলেও হাসিনার দোষররা ক্ষমতা দারপ্রান্তে অপেক্ষমাণ কতিপয় দুষ্ট রাজনৈতিক নেতাদের মাথায় জায়গা করে নিয়েছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে ছাত্র জনতা জাতিকে মুক্ত করার পথ দেখালেও ময়মনসিংহের সাংবাদিক মহলে এই স্বৈরাচার এখনো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।
প্রেস ম্যান ফর প্রেসক্লাব কর্মসূচি নিয়ে অধিকার বঞ্চিত সাংবাদিকরা যখন আন্দোলন করছে ঠিক সেসময় ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক অমিত রায়ের পক্ষ নিয়ে বেশ কিছু নেতা সাংবাদিকদের উপর হামলাসহ প্রাননাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
কথিত আমলা অপেশাদার সাংবাদিক মুরুব্বিয়ানার ভাব ধরে সাংবাদিকদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়ার চেষ্টা করছে এবং আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করছে।এ নিয়ে সাংবাদিকদের মাঝে তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভের মাত্রা বেড়েই চলছে।
এ দায় কে নিবে? গত সোমবার আকস্মিকভাবে ময়মনসিংহের এই বিতর্কিত প্রেসক্লাবে এসে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এমরান সালেহ প্রিন্স এর কাছে রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি গণমাধ্যমসহ প্রেসক্লাব সংস্কারের দাবি উঠে তার কাছে। এ প্রসঙ্গে অবশ্য তিনি বলেন, পরিবহন গণমাধ্যম সহ সকল সেক্টরেই সংস্কার প্রয়োজন।