মোঃ ইমরান হোসেন ইমু (কেরানীগঞ্জ) : ঢাকার কেরানীগঞ্জে এক ইজিবাইক চালকের ফ্ল্যাটে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে পরিবারটি।গত বুধবার দুপুর বারোটার দিকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন জিনজিরা পশ্চিম রসুলপুর এলাকার কামাল মিয়ার বাড়ির দ্বিতীয় তলায় এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মোঃ মানিক জানান, আমার বাবা হাসপাতালে ভর্তি। বুধবার সকালে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাবাকে দেখতে হাসপাতালে যাই। সারাদিন হাসপাতালে থেকে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে বাসায় ফিরে দেখি আমার ফ্ল্যাটের মেইন গেটের তালার লক কেটে ঘরে ঢুকে ওয়ারড্রপে থাকা ১৯ হাজার টাকা ও আমার স্ত্রীর স্বর্ণের কানের দুল সহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে গেছে। বাবার চিকিৎসার জন্য কিছু টাকা জমিয়ে রেখেছিলাম ও আমার স্ত্রীকে বিয়ের সময় শ্বশুরবাড়ি থেকে কানের দুল দেয়া হয়েছিল। চোরের দল সবকিছুই নিয়ে গেছে।
এই বাড়ির চতুর্থ তলার ভাড়াটিয়া জামাল বাবুর্চি জানান, বুধবার দুপুর দুইটার দিকে আমি বাসায় ফিরে দেখি দ্বিতীয় তলার দরজা একটু খোলা রয়েছে তখন আমি মনে করেছি ভাড়াটিয়ারা ঘড়ের ভেতরেই আছে।
পরবর্তীতে সন্ধ্যার সময় আবার নিচে নামতে গিয়ে দেখি দরজা এখনো সেই আগের অবস্থায় আছে তখন আমার কিছুটা সন্দেহ হয়। এরপর রাতে বাসায় ফিরে শুনি তাদের ঘরে চুরি হয়েছে। এর আগেও এই বাড়িতে বেশ কয়েকবার চুরির উদ্দেশ্যে দরজার লক কাটার চেষ্টা করা হয়েছে।
এক মাস আগে এই বিল্ডিং এ জায়গার ও তিনটি ফ্ল্যাটের মালিক কামাল এর ছেলে অনেকগুলো চাবি দিয়ে দ্বিতীয় তলায় গেটের তালা খোলার চেষ্টা করলে আমরা দেখে ফেলি এবং আমার স্ত্রী চোখে পড়ে তার পরে আমরা বাড়িওয়ালা কামালকে এবং তার স্ত্রী মুন্নিকে জানাই এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ও জানাই এই বাড়ির মালিকের কামালের স্ত্রী বলে এটা আমার ছেলের বাবার বাড়ি আমার ছেলে যা খুশি তাই করবে সমস্যা কি?
আমার মনে হয় চোর বাইরের কেউ না বাড়ির ভেতরেই আছে। সুষ্ঠ তদন্ত করলেই চোরকে ধরা সম্ভব বাড়ির মেইনগেট নিচতলায় সব সময় তালা থাকে উপরে ছয় তলায় কামাল ও তার স্ত্রী ছেলে এই চুরির ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত খালিদুর রহমান জানান, একটু চুরির ঘটনার সংবাদ পেয়েছি। ভুক্তভোগীকে থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।