নিজস্ব প্রতিবেদক : মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের ফুটপাতে চলছে সরব চাঁদাবাজি। লিয়াকত আলী ও কামাল হোসেনের নেতৃত্বে প্রায় ১৫/২০ জনের সংঘবদ্ধ এ চাঁদাবাজ চক্র সরকার পতনের পর কিছুদিন থেমে থাকলেও খোলস পাল্টে আবারো জোরপূর্বক দোকান দখল, বিক্রি ও ফুটপাত ভাড়ায় নেমেছে তারা। এ সংক্রান্ত বিষয়ে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের একাধিক অভিযোগ থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ম্যানেজ হয়ে যেত তাদের অর্থ কিংবা ক্ষমতায়।
জানা যায় মো. লিয়াকত আলী পিতা মৃত সিরাজুল হক বাসা ৮৯শাহ আলীবাগ মিরপুর, তিনি মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের এক নাম্বার চাঁদাবাজ, উনি কোন পদ পদবী না থাকাও সত্বেও সকল ধরনের চাঁদাবাজির সাথে জড়িত, আগের কমিশনার হাবিব ওনার আত্মীয় হওয়ার সুবাদে উনি এই চাঁদাবাজি করে, আওয়ামী লীগের আমলের নিখিল এমপি হওয়ার পরে নিখিল তার ভাগ্নি জামাই পরিচয় দিয়ে হকারদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেন, হকারদের প্রতিনিয়ত ভয়-ভীতি দেখায়, টর্চার সেলের ভয় দেখায়, ৫ আগস্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন সংগ্রামের ফলে সাবেক আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের পর থেকে চাঁদাবাজির আরও তীব্র হয়ে ওঠে, আবার নতুন পরিচয় দেয় সেনাবাহিনীর প্রধান তার আত্মীয় হয়, এই ধরনের না না ভয় ভীতি দেখায়, হকারদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা দাবি করে, মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের পূর্ব পাশে লোহার সিড়ির সাথে মোশারফ এর দোকান ছিল তার দোকান দখল করে সে নিজে দোকান দখল করে নেয়, এই দোকান তারেক নামের এক ছেলের কাছে দিয়ে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
কামাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট ফল পট্টি ভিতর গল্লির চাঁদাবাজি করে, দোকান প্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা করে প্রতিদিন চাঁদা উঠায়, এই কামাল হোসেনের আন্ডারে ৩০০ থেকে ৪০০ দোকান বসে, এই সকল দোকানের টাকা উঠায়, সে এই সব কর্মকা- করে মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের লিয়াকত তাকে সেলটার দেয়, এই চাঁদাবাজির টাকা লিয়াকত ও কামাল বাগবাটোয়ারা করে নেয়।