কাজি সোহান (বরিশাল) : তিনি ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। উপজেলার সবকিছু নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন তিনি। ঠিকাদারি দখল, চাঁদাবাজি সবই চলে তাঁর কথামতো। কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালে পড়তে হয় নাসিম বাহিনীর মুখে।
বিএনপির নেতাকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গণঅভ্যুত্থানের পর রাজাপুরের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) চলমান ১৭ প্রকল্পের প্রায় ৪০ কোটি টাকার কাজ নিজের আয়ত্তে নেন আকন। আওয়ামী লীগ আমলে দরপত্র সম্পন্ন হওয়া এসব কাজের ঠিকাদারও দলটির নেতারা। কাগজে-কলমে এখনও মূল ঠিকাদার কাজ করছেন; বাস্তবে মাঠের কাজ করছেন নাসিম ও তাঁর ভাই ফিরোজ আকন। ‘রাজাপুরে ঠিকাদারদের পথের কাঁটা বিএনপি নেতা নাসিম’
স্থানীয়ারা জানিয়েছে, পর নাসিম আরও বেপরোয়া হয়েছেন। সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিএনপির কেন্দ্রের কঠোর অবস্থান তাঁর ওপর কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। সম্প্রতি তাঁর নির্দেশে সাতুরিয়া ইউনিয়নের উত্তর তারাবুনিয়া গ্রামে একটি খাল খননের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ঠিকাদারের ম্যানেজারকে হুমকি দিয়েছেন নাসিম আকনের সহযোগী স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মামুনসহ কয়েকজন। তিনি নাগরিক কমিটিতে থাকায় বিষয়টি তাঁকে জানানো হয়। তিনি তা রাজাপুর থানার ওসিকে জানান এবং নাসিমের লোকজনকে চাঁদা না দিতে ঠিকাদারের লোকজনকে বলে দেন।
তুহিন বলেন, ‘এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কয়েক দিন আগে মামুন তার সহযোগীদের নিয়ে আমাদের (তুহিন) বাড়িতে যায়। তারা আমার ভাইকে মারার জন্য খোঁজে এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল দেয়। মা আমাকে ফোনে জানালে আমি নাগরিক কমিটির শীর্ষ নেতাদের জানাই।’
তুহিনের বাবাসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য অভিযোগ দিতে রাজাপুর থানায় গিয়েছিলেন। খবর পেয়ে নাসিম আকনের অনুসারীরা থানা চত্বরে জড়ো হলে বিরূপ পরিস্থিতির মুখে তারা অভিযোগ না দিয়েই পেছনের দরজা দিয়ে চলে যান।