মাগুরা প্রতিনিধি : দক্ষিণ কোরিয়ায় বিভিন্ন পদে চাকুরী দানের কথা বলে মাগুরা জেলার কয়েকশত যুবকের কাছ থেকে প্রায় শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে ঢাকায় আত্মগোপন করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক এমপি শিখরের একান্ত লোক এ এইচ এম আলমগীর হোসেন তুষার এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৫ আগষ্ট বিপ্লবে ফ্যাসিষ্ট হাসিনার পতন হলে আলমগীর তুষার মাগুরা থেকে স্বপরিবারে ঢাকায় পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসী সুত্রে জানাগেছে,এ এইচ এম আলমগীর হোসেন তুষার বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মাগুরার গডফাদার সাইফুজ্জামান শিখরের হাতে হাত মিলিয়ে মাগুরা ইটখোলা,(আবালপুর দেড়ুয়া) এলাকায় একটি টেকনিক্যাল স্কুল প্রতিষ্ঠা করে বিদেশে (দঃ কোরিয়ায়)প্রশিক্ষিত কর্মী পাঠাবার ঘোষণা দিয়ে ৩/৪ শত যুবককে নামে মাত্র কারিগরি প্রশিক্ষণ দান করেন। এরপর তাদেরকে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঠাবার জন্য মাথাপিছু ১০/১৫ লাখ টাকা জমা নেন। কিছুদিন পর ৩০/৪০ জনকে ভুয়া ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঠান। কিন্তু কিছুদিন পরই তারা কাজ না পেয়ে দেশে ফিরে এসে আদম ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন তুষারকে খুঁজতে থাকে।
এ সময় প্রতারক তুষার পালিয়ে ঢাকায় চলে যায়।
বিদেশ গমনেচ্ছুদের টাকা মেরে দিয়ে তুষার সেই টাকায় পর পর দুইবার কুচিয়ামোড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন এবং পরাজিত হয়। এক একবার আওয়ামী লীগের নমিনেশন কিনতে তিনি ৫০/৬০ লাখ টাকা দেন এমপি সাইফুজ্জামান শিখরকে।
মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তার স্ত্রী পারুল আক্তারকে সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের জয়েন্ট সেক্রেটারি বানান।
তার পুত্রের নাম, আপন। মেয়ের নাম,নাবিলা। তারা ঢাকা ও ঝিনেদাতে লেখা পড়া করছে বলে জানা যায়।
তুষার দক্ষিণ কোরিয়া পাঠাবার কথা বলে মাগুরার বেকার যুব সমাজ থেকে প্রায় শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে এখন ঢাকা ধানমন্ডিতে ফ্ল্যাট কিনে সেই ফ্ল্যাটে বসবাস করছে।
অন্যদিকে তার হাতে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া বেকার যুবকরা ধুঁকে ধুঁকে মরছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কঠোর পদক্ষেপ কামনা করেছে।