নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানী ঢাকায় মুগদা থানা আওতাধীন মুগদা পুলিশ ফাঁড়ি মানিক নগর এলাকায় এস আই (নি:) নুর মোহাম্মদ মোস্তফা গত ২০/১১/২৪ ইং তারিখে মুগদা পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে। দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে অত্র ফাঁড়ি এলাকায় বিট পুলিশিং কার্যকর শুরু করেন। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে জনগণের আস্থা পুলিশের প্রতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছেন । অত্র এলাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন করার জন্য রাত দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সময় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে অনেক সফল হয়েছেন।
অত্র মানিকনগর বালুর মাঠ এলাকায় ওয়ারেন্টের আসামি, মাদক উদ্ধার, ছিনতাইকারী, কিশোর গ্যাং সহ সকল অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছেন। নতুন অবস্থায় যোগ দানের পর থেকে মুগদা পুলিশ ফাঁড়ি অফিসার ফোর্স এর সহায়তায়, গাজার মামলা, ইয়াবা মামলা, দস্যুতা মামলার বাদী হন এবং অফিসার ইনচার্জ মুগদা থানা নির্দেশক্রমে মামলা গুলো রুজু হয়।
বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির রক্ষার জন্য বেশ কিছু চিহ্নিত ও পেশাদার ছিনতাইকারীকে আটক করে আইনের সোপর্দ করেছে। গত ০৯/০১/২৫ ইং তারিখে চুনারুঘাট হবিগঞ্জের মৃত ফারুক চৌধুরীর ছেলে রিফাত চৌধুরীকে ধারালো চাকু সহ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে থাকেন।উক্ত ছিনতাইকারী চাকুর আঘাতে এস আই (নি:) নুর মোহাম্মদ মোস্তফা আহত হন।
ছিনতাইকারি আসামি রিফাত চৌধুরী মুগদা থানায় নিয়মিত মামলার রুজু করা হয়। মামলা নাম্বার ১২/২৫, গ্রেপ্তারকৃত আসামির আরো অনেক মামলা আছে বলে জানা যায়। তাঁর এই সাহসিকতায় ভয়ানক এই ছিনতাইকারী কে গ্রেপ্তার করায় এলাকাবাসী খুশি হয়। এই বিষয় এস আই (নি:) নুর মোহাম্মদ মোস্তফা জানতে চাইলে তিনি জানান যেদিন থেকে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেছি আর শপথ পাঠ করেছি সে দিন থেকে দেশ ও জনগণের সেবা করায় আমার কাজ।
ধারালো চাকু আঘাত সম্বন্ধে জানতে চাইলে জানান আমি যখন ধরতে যাই আসামি কোমরে চাকু বের করে আমার উপরে আঘাত করে শরীরে মোটা কাপড় থাকার কারণে ভিতরে কিছুটা লেগে যায় বড় ধরনের বিপদ থেকে বেঁচে যাই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে গিয়ে আমাকে যদি মৃত্যু বরন করতে হয় সেটি ও দেশের জন্য হাসিমুখে মেনে নিব।এলাকাবাসী জানায় পুলিশ ফাঁড়িতে ডিউটি করার জন্য ট্রান্সপোর্ট বা গাড়ি না থাকায় অনেকটাই অসুবিধা হচ্ছে। ফাঁড়িতে আরো কিছু এ এস আই কনস্টেবল পুলিশ বাড়িয়ে প্রতিদিন দুইটি টীম করে ডিউটি দিলে আইন-শৃঙ্খলা খুব দ্রুত উন্নতি হবে এবং ফাঁড়ির ইনচার্জকে কঠোর পরিশ্রমকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।