স্বাস্থ্যখাতে অর্জিত বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক পুরষ্কারই শিশু স্বাস্থ্য বিষয় নিয়ে 

Uncategorized আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ স্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক   :  স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক যতগুলো পুরষ্কার পেয়েছে তার অধিকাংশই শিশুস্বাস্থ্য বিষয়ে। অথচ বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে সবচেয়ে অবহেলিত বিষয় হচ্ছে পেডিয়াট্রিকস বা শিশুস্বাস্থ্য খাত।


বিজ্ঞাপন

রবিবার (২৩ মার্চ, ২০২৫) শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক মহোদয়ের কনফারেন্স রুমে ‘বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক এসোসিয়েশনের (বিপিএ) নতুন কমিটি ঘোষণা ও পরবর্তী করণীয়’ বিষয়ক এক কনফারেন্সে এসব কথা বলেন বক্তারা।


বিজ্ঞাপন

কনফারেন্সে বক্তারা বলেন, দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোর চিকিৎসা সেবার এক অপরিহার্য অংশ শিশুস্বাস্থ্য বা পেডিয়াট্রিকস। প্রতিটি উপজেলা, জেলা সদর এবং মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সমূহে বিশেষজ্ঞ শিশু চিকিৎসকদের মাথাপিছু রোগীর চাপ অত্যন্ত বেশী। অথচ বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে সবচেয়ে অবহেলিত বিষয় হচ্ছে শিশুস্বাস্থ্য খাত।


বিজ্ঞাপন

তাঁরা বলেন, আমরা বাংলাদেশের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ বিগত অক্টোবর ২০২৪ হতে দেশের শিশুস্বাস্থ্য খাতের নানা বঞ্চনার নিরসনে ও বৈষম্যবিরোধী সংস্কারের দাবী নিয়ে আন্দোলন করে আসছি। সরকারি চাকরিতে পদোন্নতি ও পদসৃজন, অন্ত: ও আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসন তথা স্বাস্থ্যখাতের সংস্কার নিয়ে জোরালো আন্দোলন করছি। আমাদের বঞ্চনার আরেকটি কারণ– স্বাস্থ্যখাতে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার না হওয়া। ইতোমধ্যে আমরা সারাদেশের শিশু বিশেষজ্ঞগণ নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ ও আলোচনা করে খুব চমৎকারভাবে শিশুস্বাস্থ্য খাতের সংকট সমূহ উৎঘাটন করেছি ও সমস্যা নিরসনে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব ইতিমধ্যে কমিটির প্রধানের কাছে জমা দিয়েছি।

তাঁরা আরো বলেন, বাংলাদেশের শিশু বিশেষজ্ঞদের বঞ্চনার প্রধান একটি কারণ হচ্ছে বিগত ১৬ বছর শিশু বিশেষজ্ঞদের একমাত্র সংগঠন বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক এসোসিয়েশনের (বিপিএ) এর বড় একটি অংশীদার সরকারি চিকিৎসকদের প্রতিনিধিত্ব না থাকা। ৫ই আগষ্টের পর তৎকালীন অনির্বাচিত বিপিএ একটি অন্তর্বর্তী আহবায়ক কমিটির কাছে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। এই অন্তর্বর্তীকালীন আহবায়ক কমিটির মূল দায়িত্ব ছিল ৪ মাসের মধ্যে একটি নির্বাচন আয়োজন করা। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব না হওয়ায় এবং পদোন্নতি ও পদ সৃজন; স্বাস্থ্যখাতে প্রয়োজনীয় সংস্কার ত্বরান্বিত করা এবং রাজধানী ঢাকায় একটি সরকারি মাল্টিডিসিপ্লিনারি শিশু হাসপাতাল করার প্রয়াসে- বাংলাদেশের সকল সরকারী ও বেসরকারী শিশু বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বিপিএ এর একটি কমিটি ঘোষণা করা অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে।

বাংলাদেশে শিশুস্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসকদের সংকট ও নিরসনের উপায় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর জরুরী সাধারণ সভায় সারাদেশ থেকে আগত উপস্থিত বিপিএ এর আজীবন ও সাধারণ সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে বিপিএ’র আহবায়ক অধ্যাপক ডা. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ নতুন কমিটি (আংশিক) ঘোষণা করেন এবং উপস্থিত সদস্যবৃন্দ হাত তুলে উক্ত ঘোষিত কমিটির প্রতি পূর্ন সমর্থন জানান।

বিপিএ’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. আবদুর রউফ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন নির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল হান্নান, সিলেট এম এ জি ওসমানি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এবং বিপিএ আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. জিয়াউর রহমান চৌধুরী, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নুরুল আলম, বিপিএ পদসৃজন ও পদোন্নতি কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী ডা. ইয়ামিন শাহরিয়ার চৌধুরী, বিপিএ আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. দেওয়ান নিজামুদ্দিন হেলাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আইনুল ইসলাম খাঁন, বিপিএ পদ সৃজন ও পদোন্নতি কমিটির সমন্বয়কারী ডা. শফিকুল ইসলাম ও ডা. মোহাম্মদ মনির হোসেন, বিপিএ আহবায়ক কমিটির সদস্য ডা. এমএস. খালেদ, ডা. সাজ্জাদ হোসেন, ডা. এএসএম. মাহমুদুজ্জামান, অধ্যাপক আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক খয়বর আলী, সহযোগী অধ্যাপক ডা. রকিবুল ইসলাম খান, বিসিএস হেলথ ক্যাডার এসোসিয়েশন এর আহবায়ক ফোরাম এর মোহাম্মদ নেয়ামত হোসেন, ডা. মো. মনির হোসেন (NINS), ডা. মাহমুদুল হাসান, ডা. মুশতাব শীরা মৌ, ডা. মশিউর রহমান, ডা. মাসুমা আক্তার প্রমুখ।

এরপর বিপিএ’র আহবায়ক অধ্যাপক ডা. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক এসোসিয়েশন (বিপিএ) এর জরুরী সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *