নিজস্ব প্রতিনিধি , (যশোর) : যশোরের অভয়নগর উপজেলার ‘অভয়নগর প্রেসক্লাবের কমিটির’ নামে ঘোষিত তথাকথিত কমিটি গঠনের ব্যপারে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন অভয়নগর প্রেসক্লাবের কর্মকর্তা ও সদস্যরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার সময় প্রেসক্লাবের এক জরুরী সভায় এ প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়।

প্রেসক্লাবের আহবায়ক চৈতন্য কুমার পালের সভাপতিত্বে মিটিংয়ে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা মোঃ ফারুক হোসেন, এস এম রফিকুল আলম, প্রেসক্লাবের কর্মকর্তা শেখ আব্দুল হালিম বাপ্পি, মনিরুজ্জামান মিল্টন, প্রিয়ব্রত ধর, সদস্য সৈয়দ আরাফাত হোসেন তাজ, মোঃ আমানুল্লাহ, মিঠুন দত্ত প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, অভয়নগর প্রেসক্লাব বিগত ২০২০ সালে থেকে পেশাজীবি সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকাল হতে প্রেসক্লাবের সদস্যরা বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় অদ্যবধি সততা ও সুনামের সহিত বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে।

অথচ গতকাল বুধবার ২৬ মার্চ, ‘অভয়নগর প্রেসক্লাব কমিটি’ নামে দক্ষিণ বাংলা ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গঠিত তথাকথিত কমিটি প্রচার করা হয়েছে যা নিয়ম বহির্ভুত ও বিভ্রান্তিকর। এহেন কর্মকান্ডে উপস্থিত সবাই বিস্ময় প্রকাশ করেন।
উক্ত ভিডিওতে জনৈক কামরুল ইসলাম এক জরুরী সভায় ঘেষণা করেন অভয়নগর প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটি না থাকায় একটা নেতৃত্বশুন্য অবস্থায় চলছিল। ফলে তিনি প্রেসক্লাবের ১৩ সদস্য বিশিষ্ট এক কমিটি গঠন ও তা ঘোষণা করছেন। যেখানে সভাপতি হিসেবে সৈয়দ রিপন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মোঃ আশরাফুল ইসলাম মাসুমের নাম ঘোষণা করা হয়।
মূলত কিছুদিন আগে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে অভয়নগর প্রেসক্লাবের ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। যার আহবায়ক হলেন চৈতন্য কুমার পাল, যুগ্ন আহবায়ক শেখ আব্দুল হালিম বাপ্পি, সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মিল্টন, সদস্য শেখ আতিয়ার রহমান ও প্রিয়ব্রত ধর।
ফলে জনৈক ব্যক্তির ঘোষণা ‘দীর্ঘদিন অভয়নগর প্রেসক্লাবে কার্যনির্বাহী কমিটি না থাকায় নেতৃত্বশূন্য অবস্থায় চলছিল’ বক্তব্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। মূলত ঘোষিত কমিটির ১৩ জনের ১১ জনই অভয়নগর প্রেসক্লাবের সদস্য নয়।
বাকি দুইজন সদস্য ঘোষিত কমিটি গঠনের ব্যাপারে তাদের কিছুই জানানো হয়নি বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করেন। জরুরী সভায় কোনো সংগঠনের কমিটি গঠিত হতে পারে না। তারা হীনস্বার্থে অভয়নগর প্রেসক্লাব ও সাংবাদিকতার নাম ব্যবহার করে নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্যই উক্ত কমিটি ঘোষণা করেছেন।
প্রেসক্লাবের নতুন কমিটির যে চিঠি বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরিত হয়েছে তাও মূল্যহীন বলে সভায় অভিমত ব্যাক্ত করা হয়। এ ব্যাপারে অভয়নগর উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরসহ সব মহলকে প্রতারিত ও বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য বক্তারা অনুরোধ করেন।