৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা

অর্থনীতি এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন সারাদেশ স্বাস্থ্য

৫ প্যাকেজে প্রধানমন্ত্রীর চার কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা

 

বিশেষ প্রতিবেদক : বিশ্বে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাব উত্তরণে আর্থিক সহায়তার প্যাকেজ ও সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বাড়ানোসহ ৪টি কার্যক্রম নিয়ে কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার সকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তাৎক্ষণিক, স্বল্প এবং দীর্ঘ-মেয়াদী এ তিন পর্যায়ে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৪টি কার্যক্রম নিয়ে এ কর্মপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ৪টি কার্যক্রম হলো:
১. সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি করা: সরকরি ব্যয়ের ক্ষেত্রে ‘কর্মসৃজনকে’মূলত প্রাধান্য দেওয়া হবে। বিদেশ ভ্রমণ এবং বিলাসী ব্যয় নিরুৎসাহিত করা হবে। আমাদের ঋণের স্থিতি-জিডিপি’র অনুপাত অত্যন্ত কম (৩৪ শতাংশ) বিধায় অধিকতর সরকারি ব্যয় সামষ্টিক অর্থনীতির ওপর কোনো চাপ সৃষ্টি করবে না।
২. আর্থিক সহায়তার প্যাকেজ: ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা প্রবর্তন করা হবে। অর্থনৈতিক কর্মকা- পুনরুজ্জীবিত করা, শ্রমিক-কর্মচারীদের কাজে বহাল রাখা এবং উদ্যোক্তাদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা অক্ষুন্ন রাখাই হলো আর্থিক সহায়তা প্যাকেজের মূল উদ্দেশ্য।
৩. সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি: দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী জনগণ, দিনমজুর এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক কাজে নিয়োজিত জনসাধারণের মৌলিক চাহিদা পূরণে বিদ্যমান সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বাড়ানো।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমগুলো হলো: বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, ১০ টাকা কেজি দরে চাউল বিক্রয়, লক্ষ্যভিত্তিক জনগোষ্ঠির মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ, ‘বয়স্ক ভাতা’এবং ‘বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলাদের জন্য ভাতা’ কর্মসূচির আওতা সর্বাধিক দারিদ্র্যপ্রবণ ১০০টি উপজেলায় শতভাগে উন্নীত করা এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত অন্যতম কার্যক্রম গৃহহীন মানুষদের জন্য গৃহ নির্মাণ কর্মসূচি দ্রুত বাস্তবায়ন করা ইত্যাদি।
৪. মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি করা: অর্থনীতির বিরূপ প্রভাব উত্তরণে মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরি। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে সিআরআর এবং রেপোর হার কমিয়ে মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধির ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, যা আগামীতেও প্রয়োজন অনুযায়ী অব্যাহত থাকবে। তবে এ ক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য থাকবে যেন মুদ্রা সরবরাহজনিত কারণে মুদ্রাস্ফীতি না ঘটে।
৭৩ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা : করোনাভাইরাসের প্রভাব থেকে অর্থনীতিকে বাঁচাতে মোট পাঁচটি প্যাকেজে প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে এসব কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। কর্মপরিকল্পনার আর্থিক সহায়তা প্যাকেজের আওতায় এ টাকা দেওয়া হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। নতুন ৪টিসহ মোট ৫টি প্যাকেজে আর্থিক সহায়তার পরিমাণ হবে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা যা জিডিপি’র প্রায় ২.৫২ শতাংশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্যাকেজসমূহ দ্রুত বাস্তবায়িত হলে আমাদের অর্থনীতি পুনরায় ঘুরে দাঁড়াবে এবং আমরা কাক্সিক্ষত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছতে পারবো, ইনশাআল্লাহ।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সম্ভাব্য এই বৈশ্বিক ও দেশীয় অর্থনৈতিক সংকট হতে উত্তরণের জন্য রপ্তানি খাতের পাশাপাশি দেশীয় পণ্যের প্রতি আমাদের বিশেষ নজর দিতে হবে। এক্ষেত্রে আমি সকলকে দেশীয় পণ্যের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’ সকল প্রতিকূলতা মোকাবেলা বাংলাদেশের মানুষ ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের রয়েছে আশ্চর্য এক সহনশীল ক্ষমতা এবং ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা। ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে যে জাতি মাত্র ৯ মাসে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে – সে জাতিকে কোন কিছুই দাবিয়ে রাখতে পারবে না।’
প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত আর্থিক সহায়তা প্যাকেজগুলো হলো-
প্যাকেজ-১: ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সুবিধা দেওয়া, ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্পসুদে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল দেওয়ার লক্ষ্যে ৩০ হাজার কোটি টাকার একটি ঋণ সুবিধা প্রণয়ন করা হবে। ব্যাংক-ক্লায়েন্ট রিলেশনসের ভিত্তিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সংশ্লিষ্ট শিল্প/ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজস্ব তহবিল হতে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বাবদ ঋণ দেওয়া।
এ ঋণ সুবিধার সুদের হার হবে ৯ শতাংশ। প্রদত্ত ঋণের সুদের অর্ধেক অর্থাৎ ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ ঋণ গ্রহিতা শিল্প/ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিশোধ করবে এবং অবশিষ্ট ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে দেবে।
প্যাকেজ-২: ক্ষুদ্র (কুটির শিল্পসহ) ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সুবিধা প্রদান: ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্পসুদে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল প্রদানের লক্ষ্যে ২০ হাজার কোটি টাকার একটি ঋণ সুবিধা প্রণয়ন করা হবে। ব্যাংক-ক্লায়েন্ট রিলেশনসের ভিত্তিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজস্ব তহবিল হতে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বাবদ ঋণ দেবে।
এ ঋণ সুবিধার সুদের হারও হবে ৯ শতাংশ। ঋণের ৪ শতাংশ সুদ ঋণ গ্রহিতা শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিশোধ করবে এবং অবশিষ্ট ৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসাবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে দেবে।
প্যাকেজ-৩: বাংলাদেশ ব্যাংক প্রবর্তিত এক্সপোর্ট ডেভলপমেন্ট ফান্ডের (ইডিএফ) সুবিধা বাড়ানো: ব্লক টু ব্লক এলসির আওতায় কাঁচামাল আমদানি সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইডিএফের বর্তমান আকার ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে। ফলে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অতিরিক্ত ১২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা ইডিএফ তহবিলে যুক্ত হবে। ইডিএফ-এর বর্তমান সুদের হার খওইঙজ + ১.৫ শতাংশ (যা প্রকৃত পক্ষে ২.৭৩%) হতে কমিয়ে ২ শতাংশ নির্ধারণ করা হবে।
প্যাকেজ-৪: প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট রিফাইন্যান্স স্কিম (চৎব-ংযরঢ়সবহঃ ঈৎবফরঃ জবভরহধহপব ঝপযবসব) নামে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ হাজার কোটি টাকার একটি নতুন ঋণ সুবিধা চালু করবে। এ ঋণ সুবিধার সুদের হার হবে ৭ শতাংশ।
প্যাকেজ-৫: আগেই রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন/ভাতা পরিশোধ করার জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার একটি আপৎকালীন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ৩ স্তরের কার্যক্রম : করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার তিন স্তরের কার্যক্রম নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ভাইরাসসহ সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা ও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসরণ করে ঘধঃরড়হধষ চৎবঢ়ধৎবফহবংং ধহফ জবংঢ়ড়হংব চষধহ ভড়ৎ ঈঙঠওউ-১৯, ইধহমষধফবংয প্রণয়ন করা হয়েছে।
সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়েছে। এবারের সংবাদ সম্মেলনে অন্যবারের মতো সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকছে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত জানুয়ারি থেকেই এই তিন স্তরের কার্যক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়। এছাড়া গত ২৬ মার্চ থেকে ১৭ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী জানান পরিকল্পনার আওতায় এই তিন-স্তর বিশিষ্ট কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে-
১. বিদেশ হতে আগত ব্যক্তিদের মাধ্যমে যেন ভাইরাস না ছড়ায় সেজন্য বিদেশে গমন এবং বিদেশ থেকে আগমন নিরুৎসাহিত করা;
২. দেশের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমিত ব্যক্তির আগমন ঘটলে দ্রুত সনাক্তকরণ এবং এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির মধ্যে ভাইরাসের বিস্তার রোধ;
৩. চিহ্নিত আক্রান্ত ও অসুস্থ ব্যক্তিদের দ্রুত পৃথক করে যথাযথ চিকিৎসা প্রদান।
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় নতুনটি চারটিসহ মোট পাঁচটি প্যাকেজে প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সকলের কষ্ট লাঘব করা আমাদের দায়িত্ব। সে দায়িত্ব নিয়েই আমরা আজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছি। এর সুফলটা আশা করি সকলেই পাবে। কিন্তু এর সুযোগ নিয়ে কেউ যেন কোনো ধরনের দুর্নীতি, কোনো অনিয়ম বা কোনো অপব্যবহার না করেন। আমার সোজা কথা-কেউ এর সুযোগ নিয়ে এর অপব্যবহার করবেন না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাব উত্তরণে আর্থিক সহায়তার প্যাকেজ ও সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বাড়ানোসহ চারটি কার্যক্রম নিয়ে কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। তাৎক্ষণিক, স্বল্প এবং দীর্ঘ মেয়াদি-এ তিন পর্যায়ে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চারটি কার্যক্রম নিয়ে এ কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনের শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি সঠিকভাবে কাজ করতে পারি তাহলে কোনো সেকশনের মানুষই, যে যে সেকশনে কাজ করেন, কেউই অসুবিধায় পড়বেন না।
তিনি বলেন, ‘সারা বাংলাদেশ থেকে আমার কাছে নানা রকমের তথ্য আসছিল। অনেকে খুব দুশ্চিন্তাগ্রস্ত বিশেষ করে যারা ছোট ছোট ব্যবসা-বাণিজ্য জড়িত। কৃষি-কামার, কুমার-জেলে, তাঁতী, পোল্ট্রি-মৎস্য, ডেইরি বিভিন্ন ব্যবসায় যারা জড়িত, তারা বেশ সমস্যায় পড়ে গেছেন বলে মনে করছেন। তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত বিশেষ করে ঋণ নিয়ে, বিভিন্ন ধরনের বিল নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন।’
আমি মনে করি আজকে যেসব ব্যবস্থা গ্রহণের কথা আমরা জানিয়েছি তা বাস্তবায়ন করা গেলে ভবিষ্যতে তাদের কোনো সমস্যা হবে না। যাতে করে তাদের ব্যবসা-কর্ম খুব ভালোভাবে চালিয়ে যেতে পারেন। আমি চাই না কেউ কষ্ট করুক। তিনি আরও বলেন, যদিও আজকের একটা অদ্ভূত ধরনের আয়োজন হয়ে গেল। বলে যাচ্ছি কিন্তু কোনো সাংবাদিক নেই। শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের বক্তব্য শেষ করেন।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। তাই ‘কাউকে চাকরি থেকে বিতাড়িত করা হবে না’ বলে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলের কষ্ট লাঘব করা আমাদের দায়িত্ব। সে দায়িত্ব নিয়েই আজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছি। এর সুফলটা আশা করি সকলেই পাবে। কিন্তু এর সুযোগ নিয়ে কেউ যেন কোনো ধরনের দুর্নীতি, কোনো অনিয়ম বা কোনো অপব্যবহার না করেন। আমার সোজা কথা-কেউ এর সুযোগ নিয়ে অপব্যবহার করবেন না।
পণ্যের উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রফাতনির পশাপাশি এখন দেশিও পণ্যের উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়াতে হবে। সংবাদ সম্মেলনের শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি সঠিকভাবে কাজ করতে পারি তাহলে কোনো সেকশনের মানুষই, যে যে সেকশনে কাজ করেন, কেউই অসুবিধায় পড়বেন না।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে করোনা ভাইরাসের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপগুলো মানুষের কাছে প্রচার করেন। তাহলে সবাই আশ্বস্ত হবেন, আশার বাণী শুনবে এবং তাদের জীবন যাত্রা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হবে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *