নিজস্ব প্রতিবেদক : খ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করলো রবি। গত ২৮ মে রবির প্রধান কার্যালয়ে বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। রক্তদান কর্মসূচিতে রবি, ইউনিলিভার, ম্যাকডোনাল্ড, শাক্স হোল্ডিংস এবং শান্তা ফোরাম কমিউনিটির অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শতাধিক কর্মী অংশগ্রহণ করেন।

স্বাস্থ্যসেবা, সমাজকল্যাণ ও সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতিশ্রুতি থেকে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের সহায়তার জন্য রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে আসছে রবি। সেই ধারাবাহিকতায় রবি এ বছরও রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করলো। এই উদ্যোগে রবির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রক্তদাতাদের ধন্যবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করেন তারা। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে রক্তদাতাদের বিনামূল্যে ছয়টি স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, থ্যালাসেমিয়া একটি জিনগত বা বংশগত রক্তজনিত রোগ, যা শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরির প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। এতে অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী, দেশের প্রায় ১.৮২ কোটি (১১.৪ শতাংশ) মানুষ থ্যালাসেমিয়ার বাহক। বাংলাদেশে প্রতি বছর আনুমানিক ৬ থেকে ৮ হাজার শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। থ্যালাসেমিয়া ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশনের (টিআইএফ) হিসাবে, বর্তমানে দেশে ৭০ হাজারের বেশি থ্যালাসেমিয়া রোগী রয়েছে।

থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের ভাইস-চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দা মাসুমা রহমান বলেন, “থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য রক্তদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তাদের বেঁচে থাকা এবং সুস্থতার জন্য নিয়মিত রক্তসঞ্চালন প্রয়োজন। এই ধরনের উদ্যোগে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণ স্ত্রীবন রক্ষাকারী এই সহায়তাকে টেকসই করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ২০২৪ সালে থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের সর্বোচ্চ কর্পোরেট রক্তদাতা হিসেবে রবির অবদানের জন্য আমরা আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতায় তাদের নেতৃত্বের প্রশংসা করছি।”
রবি আজিয়াটা পিএলসির চিফ কর্পোরেট ও রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, “রক্তদান কর্মসূচিতে যে অসাধারণ সাড়া পাওয়া গেছে, তাতে আমরা গর্বিত ও কৃতজ্ঞ। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা এতে অংশগ্রহণ করেছেন। এই উদ্যোগ স্বাস্থ্যসেবাসহ দেশের মানুষের জন্য নিবেদিত থাকতে ররির প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।”
রবি সম্পর্কে : রবি আজিয়াটা পিএলসি (‘রবি’) একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি যেখানে এশিয়ার টেলিযোগাযোগ বাজারের অন্যতম কোম্পানি মালয়েশিয়াভিত্তিক আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদের সিংহভাগ মালিকানা (৬১.৮২%) রয়েছে। এছাড়া রবিতে পাবলিক শেয়ারহোল্ডারদের (১০%) পাশাপাশি বিশ্ব টেলিযোগাযোগ বাজারের অন্যতম কোম্পানি ভারতী এয়ারটেলের (ভারত) শেয়ার রয়েছে ২৮.১৮%। রবি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর। দেশের মানুষের জন্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ডিজিটাল সেবা আনছে কোম্পানিটি। দেশের প্রতিটি প্রান্তে উদ্ভাবনী সেবা পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশে রবি অব্যাহত বিনিয়োগের মাধ্যমে শক্তিশালী টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তুলেছে। দেশজুড়ে থাকা এ অবকাঠামো ডিজিটাল পণ্য ও সেবা সরবরাহের পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল প্রতিবেশ গড়ে তুলতে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। শহর কিংবা গ্রাম যেখানেই হোক রবির হাত ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে হাটছে দেশবাসী।