নিজস্ব প্রতিবেদক : গতকাল মঙ্গলবার ৩ জুন বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক এ্যাসোসিয়েশন (বিআরজেএ) স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া উর রহমানের’৪৪তম” শাহাদাৎ বার্ষিক উপলক্ষে “আধিপত্যবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্য ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম” শীর্ষক আলোচনা সভার শুরুতে শহীদ জিয়া সহ আধিপত্যবাদ মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশ ও দায়িত্বশীলকে গণমাধ্যমের জন্যে যারা শাহাদাৎ বরণ করেছে তাদের আত্মারমাগফেরাত কামনা করে জান্নাতের সর্বোচ্চ মোকাম প্রদানের জন্যে দোয়া করে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, আধিপত্যবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্যে ফাটল ধরাতে ফ্যাসিষ্টরা নানা কৌশল অবলম্বন করেছে। নির্বাচনে তফসীল ঘোসনার আগ পর্যন্ত আধিপত্যবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে হবে। এই ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীলকে ভুমিকা পালন করতে হবে। আধিপত্যবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্যের গণমাধ্যম দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে এটিই ছিল শহীদ জিয়ার দর্শন।

তিনি আরো বলেন, জাতীয় ঐক্যে যাতে ফাটল না ধরে এজন্য শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও মজলুম দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সতর্ক। গত ১৭-১৮ বছর জুলুম নিপীড়ন সহ্য করেও আধিপত্যবাদের চক্রান্তের বিরুদ্ধে অতীতে সবাই যেমন ঐক্যবদ্ধ ছিলেন ভবিষ্যতেও তাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

তিনি বলেন, জনগন কাদের ক্ষমতায় বসাবে সে সিদ্ধান্ত নিতে জনগণকে সুযোগ দিন। বিএনপি’র শক্তি যেমন জনগন তেমনি মজলুম দলগুলোকে জনগণের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের পুর্ণবাসন রুখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোন বিকল্প পথ নাই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলেকে দেশের সর্ববৃহত্তম ছাত্র সংগঠনে রুপান্তরে অক্লান্ত পরিশ্রমকারী সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম চৌধুরী বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, মসিউর রহমান যাদু মিয়া, এস এ বারী এ টি আধিপত্যবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার জন্য স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আধিপত্য বিরোধী জাতীয় ঐক্যকে সুদৃঢ় করতে জাতীয় ছাত্রদল থেকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে যোগদান করি। শহীদ জিয়ার মৃত্যুর পরে আধিপত্যবাদের চক্রান্তের রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে হয়। আজকে শহীদ জিয়া উপরে আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে এসেছি আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যের নেতা মজলুম তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে।
চার্টার একাউন্ট্যান্ট এ, কে, এম, আমিনুল হক বলেন, জাতীয় ঐক্য ও আধিপত্য বিস্তার প্রতিরোধ করতে হলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামী ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহান বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আহ্বান ছিল যেকোন মূল্যে আধিপত্যবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্যে গণমাধ্যম দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে।
ড্যাব নেতা অধ্যাপক ডা. খন্দকার জিয়া উল ইসলাম জিয়া বলেন, আধিপত্যবাদ বিরোধী তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হতে গিয়ে আমার ছোট ভাইকে হারিয়েছি। তারপরও আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জাতিকে আধিপত্যবাদমুক্ত রাখতে দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো।
বিআরজেএ’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাখাওয়াৎ হোসেন ইবনে মঈন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন সর্বজনাব ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)’র সাবেক সভাপতি এলাহী নেওয়াজ খান, ডিইউজে’র সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক মো. খুরশীদ আলম, জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সাবেক মজলুম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সম্রাট, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেলাল উদ্দীন আহম্মেদ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি এম, রাজীবুল ইসলাম তালুকদার (বিন্দু), বিআরজেএ’র যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার শিশির প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিআরজেএ মহাসচিব এস, এম, বদরুল ইসলাম। দোয়া পরিচালনা করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের পেশ ইমাম মাওলানা মনিরুজ্জামান।