মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরী : গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির এনসিপির কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে রণক্ষেত্রে পরিনত হয়েছে। এর জের ধরে ১৪৪ ধারা জারী করেছেন গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন। জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কর্মসূচী অংশ হিসাবে পদযাত্রা করে গোপালগঞ্জ পৌরসভার উম্মুক্ত মঞ্চে সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল।

সমাবেশ শুরুর আগেই নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্র লীগের সদস্যরা সমাবেশস্থলে আকস্মিক হামলা চালিয়ে মঞ্চ ও চেয়ার ভাংচুর করে। সকালে পুলিশের গাড়িতে উলপুর এলাকা আগুন দেয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্র লীগের সদস্যরা।

গান্ধিয়াশুর এলাকায় উপজেলা কর্মকর্তার গাড়ি বহরে হামলা করা হয়। এসব হামলার বিষয় নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশের একটি সূত্র। হামলায় চারজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদেরকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এনসিপি কেন্দ্রীয় নেতারা দুপুর দুইটায় ভাঙা মঞ্চে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে বের হওয়ার কিছুক্ষনের মধ্যেই তাদের গাড়ি বহরে হামলা চালায় নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্র লীগের সদস্যরা।


এরপর গাড়ি বহর ফিরে এসে পুলিশ সুপারের কর্যালয়ে আশ্রয় নেন। তারা মূলতঃ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। হামলার সময় পুলিশের পক্ষ থেকে টিয়ারসেল ও ফাঁকা গুলি বর্ষন করেন।
এ পর্যন্ত শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এখন পর্যন্ত সরকারি তরফে মৃত্যুর কোন সংবাদ পাওয়া যায়নি। তবে একটি অসমর্থিত সূত্রে তিনজন মৃত্যুর খবর জানা গেছে।
জানা গেছে গোপালগঞ্জ থেকে বের হওয়ার সকল রাস্তা আওয়ামী লীগ ও ছাত্র লীগের নেতা কর্মীররা অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। যাতে এনসিপি কেন্দ্রীয় নেতারা গোপালগঞ্জ থেকে বের হতে না পারেন। পরিস্থিতি সামাল দিতেই অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
এনসিপির নেতারা হামলার সময় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আকষ্মিক হামলার কারনে পরিস্থিতি সামাল দিতে একটু সময় লেগেছে। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।