মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরী : সারা দেশের মতো গোপালগঞ্জেও নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জেলার প্রশাসন, বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে পৃথকভাবে দিবসটি উদযাপন করা হয়।

শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও দোয়া মাহফিল : দিবসটির শুরুতে ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে গোপালগঞ্জ শহরের শহীদ কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় অনুষ্ঠিত হয় দোয়া ও মোনাজাত।

জেলা প্রশাসনের আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান : সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক যুগ্ম সচিব মুহম্মদ কামরুজ্জামান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রফিকুজ্জামান, জামায়াতে ইসলামীর নেতা অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন সরদার ও অধ্যাপক রেজাউল করিম।

আলোচনা শেষে শহীদ পরিবারের ৭ জন সদস্য এবং আন্দোলনে আহত ৪০ জনকে সম্মাননা ক্রেস্ট, দেয়াল ঘড়ি ও ক্যালেন্ডার প্রদান করা হয়।
বিএনপি ও জামায়াতের পৃথক কর্মসূচি : উপজেলা বিএনপি সকালেই পাঁচুড়িয়া এলাকা থেকে একটি বিজয় র্যালি বের করে, যা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পৌর পার্কে গিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রফিকুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব কাজী আবুল খায়ের, উপজেলা বিএনপি সভাপতি শিকদার সহিদুল ইসলাম লেলিন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলুল কবির দ্বারা।
অন্যদিকে, সকাল সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে শহরে একটি গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি আলিয়া মাদ্রাসা থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পুরাতন লঞ্চঘাটে গিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাবেক আমির মাওলানা আব্দুল হামিদ, বর্তমান আমির অধ্যাপক রেজাউল করিম এবং অধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট আজমল সরদার।
উপজেলা পর্যায়ে কর্মসূচি : গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে জেলার কোটালীপাড়া, মুকসুদপুর, কাশিয়ানী ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও শহীদদের কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এছাড়া বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা ইউনিটগুলোও পৃথকভাবে র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করে ।