# কমিশনের খেলায় নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ ও সহকারী প্রকৌশলী আশরাফ # ‘GOODS’ এর বদলে ‘WORKS’ এ টেন্ডার # গোপনে রেট ফাঁসের অভিযোগ # সুষ্ঠু তদন্তে টেন্ডার বাতিল ও রিটেন্ডারের দাবি ঠিকাদার মহলের #

নিজস্ব প্রতিনিধি (পাবনা) : নীতিমালা উপেক্ষা করে পাবনা গণপূর্ত অফিসে চলছে ভয়ঙ্কর কারসাজি। অভিযোগ উঠেছে, নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ কবির ও সহকারী প্রকৌশলী (স্টাফ অফিসার) আশরাফ চৌধুরী মরিয়া হয়ে উঠেছেন সোনেক্স ইন্টারন্যাশনাল ও ড্যাফোডিল ইলেকট্রিক কোম্পানিকে কাজ পাইয়ে দিতে।
অনিয়মের নাটকীয় মোড় : রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আবাসিক ভবনের ৪৪টি লিফট যন্ত্রাংশ সরবরাহ ও মেরামতসহ অন্যান্য কাজের দুটি বড় প্যাকেজে টেন্ডার আহ্বান করে পাবনা গণপূর্ত অফিস। কিন্তু অভিযোগকারীদের ভাষায়, এই টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে GOODS এর জায়গায় WORKS পদ্ধতিতে, যা সম্পূর্ণ পিপিআর-২০০৮ এর নিয়মবহির্ভূত। আরও বিস্ময়কর বিষয় হলো, গোপনীয় থাকার কথা যেই ‘রেট শিডিউল’, সেটিও ফাঁস করে দেয়া হয়েছে পছন্দের প্রতিষ্ঠান সোনেক্স ও ড্যাফোডিলকে।

কমিশনের খেলা : ঠিকাদার মহল অভিযোগ করছে—এই দুই প্রকৌশলী ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে কমিশন নিয়েছেন এবং তাদেরকে কাজ পাইয়ে দিতে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করছেন। ফলে বৈধ প্রতিযোগিতা ভেস্তে গিয়ে বেনিয়মকেই নিয়মে পরিণত করার চেষ্টা চলছে।

টেন্ডারের টাইমলাইন : দরপত্র বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ই-জিপি সিস্টেমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিক্রির শেষ তারিখ ছিল ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর। এই দরপত্র আহ্বান কমিটির প্রধান ছিলেন নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ কবির।
ভয়ঙ্কর পরিণতির আশঙ্কা :
স্থানীয়রা বলছেন, গণপূর্ত একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর যেখানে দেশের সবচেয়ে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়। যদি নিয়ম ভেঙে বেনিয়মকে বৈধ রূপ দেয়া হয়, তাহলে পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ। এক পর্যায়ে এ ধরণের অনিয়মই নিয়মে পরিণত হয়ে যাবে।
নীরব প্রকৌশলীরা : এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ কবির ও সহকারী প্রকৌশলী আশরাফ চৌধুরীর সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।