অবৈধটাকায় কোটিপতি নড়াইলের বেনজীর

অপরাধ সারাদেশ

পর্ণগ্রাফি ভিডিও ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ
নড়াইল প্রতিনিধি : অবৈধটাকায় কোটিপতি বনে নড়াইলের বেনজীর, পর্ণগ্রাফি ভিডিও ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। নড়াইলের মির্জাপুরে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে নিজের তৈরি অশ্লীল নীল ভিডিও ব্যবসা করে কোটিপতি বেনজীর, অভিযোগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে। নড়াইল জেলার সদর থানাধীন মির্জাপুর গ্রামে মো: বেনজীর আহম্মেদ মোল্যা নামের এক অশ্লীল নীল ভিডিও ব্যবসায়ী চক্রের হোতার সন্ধান পাওয়া গেছে। সে ওই গ্রামের জামির মোল্যার ছেলে। “কথায় আছে, চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী” উক্ত লম্পট বেনজীর আহম্মেদ মোল্যার পিতা জামির হোসেন মোল্যা শিক্ষার্থীদের টিউশনি করে জীবন-যাপন করলেও তার বড় ছেলেটি ছিলো বিচিত্র চরিত্রের। অপকর্ম-অপকর্ম আর অপকর্মের মধ্য দিয়ে তার জীবন পরিচালিত হতে থাকলেও বর্তমান সময়ে মেয়েদের সাথে নিজের অশ্লীল-উলঙ্গ যৌন ভিডিও তৈরি আবার নিজেই তার ব্যবসা করে লম্পট বেনজীর আহম্মেদ মোল্যা আজ “আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ” কোটিপতি সহ বহু বিত্ত-বৈভবের মালিক। এছাড়া অর্ধ শতাধিক গ্রামবাসী স্বাক্ষরিত তার বিরুদ্ধে বহু অপকর্মের অভিযোগ বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে। অভিযোগের আলোকে সত্যতা যাচাইয়ে নড়াইলের সদর থানাধীন মির্জাপুর গ্রাম সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় সরেজমিনে-গোপন অনুসন্ধানে গিয়ে এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায় লোমহর্ষক সব ঘটনার বিবরণ। আর সংগ্রহে আসে একাধিক তথ্য ও প্রমাণ। এলাকাবাসী জানায়, মির্জাপুর একটি স্বনামধন্য গ্রাম, এখানে শিক্ষার হার বেশি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের জন্মস্থান হলেও এই গ্রামটি বর্তমানে বেনজীর মোল্যা নামে এক লম্পট-কুলাঙ্গারের কর্মকান্ডের কারণে গ্রামটির সুনাম আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, এই মির্জাপুরের বেনজীর মোল্যা বর্তমানে এক আতঙ্কের নাম। বেনজীর মোল্যা বর্তমানে এলাকার এক লম্পট, চরিত্রহীন ধুরন্ধর, কু-প্রবৃত্তির অধীকারী, মিথ্যা মামলাবাজ ও এলাকায় ত্রাস সৃষ্টিকারীর নাম। তার কু-কীর্তি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে মুখ খুললে বা প্রতিবাদ করলে নিরীহ গ্রামবাসীদের হতে হবে মিথ্যা মামলায় হয়রানীর শিকার; এই ভয় আর আতঙ্ক অনেকেরই। অথচ উক্ত বহু অপকর্মের হোতা বেনজীর মোল্যার জীবন-যাপন কিছু বছর পূর্বেও ছিলো অতি সাধারণ। তার পিতা জামির হোসেন মোল্যা স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিউশনি করে পরিবারের ভরণ পোষন সহ সন্তানদের লেখাপড়া করাতেন। তাদের সময়ও পার হতো অতি সাধারণ ভাবে। বর্তমানে অবৈধ আয়ে কোটি কোটি টাকা, অগাধ সম্পত্তি ও আলীশান বাড়ীসহ বিলাসবহুল জীবন-যাপন কু-কীর্তিতে ভরা বেনজীর মোল্যার অতীত জীবনের সাথে কোন মিল নেই। একজন নারীলোভী দালাল প্রকৃতির লোক। সে ইতিপূর্বে চুরির দায়ে দোষি সাব্যস্ত হয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও নৌ-বাহিনী থেকে চাকুরীচ্যুত হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন অফিসের দালালী শুরু করে আয়ের উৎস পরিবর্তন করে। বেছে নেয় আরো ঘৃণ্য পথ বিভিন্ন মেয়েদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে সু-কৌশলে নিজেই নিজের আপত্তিকর যৌন ভিডিও ধারণ-তৈরি করে তাদের পরিবারকে জিম্মি করে হাতিয়ে নেয় লক্ষ লক্ষ টাকা। যশোরে আর মির্জাপুরে গড়ে তোলে নামে-বেনামে অবৈধ সম্পত্তি ও একাধিক আলীশান বাড়ি। এতদসংক্রান্ত ব্যাপারে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ নড়াইল জেলা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এলাকাবাসী। উপরোক্ত অভিযোগের আলোকে অভিযুক্ত বেনজীর মোল্যাহ এর বক্তব্য জানতে, তার মোবাইল নং-০১৭——-৯৭ এ বার বার ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়াও উক্ত বহু অপকর্মের হোতা ধুরন্ধর বেনজীর মোল্যার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকরর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, ব্যাংক জালিয়াতী, ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি, নারী ও মাদক ব্যবসা এবং নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার সত্যতা যাচাই পূর্বক পরবর্তীতে সংবাদ প্রকাশ করা হবে।


বিজ্ঞাপন