নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর মন্ত্রিসভায় সীমিত পরিসরে রদবদল করেন সরকারপ্রধান। এ বছরের শুরুতেও খানিকটা রদবদল হয়েছিল। পরে আরও কিছুটা রদবদলের গুঞ্জন শোনা গেলেও করোনাভাইরাসের কারণে তা আর হয়নি। এখন রদবদল না হলেও ‘শূন্যস্থান’ পূরণ হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র থেকে।
মন্ত্রিসভার অন্তত তিনজন সদস্য জানান, বিগত দুই মেয়াদে সরকার পরিচালনাকালে একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর মন্ত্রিসভায় কিছুটা রদবদল করাই ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৌশল। মুজিববর্ষের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই মন্ত্রিসভায় একদফা রদবদলের গুঞ্জন চলছিল। করোনাকালে লকডাউন ও বিশ্বব্যাপী উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে তা হয়নি।
মন্ত্রিসভার সদস্যরা আরও জানান, করোনায় ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহর মৃত্যুর পর থেকেই সরকারের ভেতরে মন্ত্রিসভায় রদবদলের গুঞ্জন আরও জোরালো হয়ে ওঠে। মন্ত্রিসভায় রদবদলের বিষয়টি সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারভুক্ত হওয়ায় এ বিষয়ে সুস্পষ্ট করে কিছু বলার সুযোগ নেই। চলতি বছর রদবদল না হলেও ‘শূন্যস্থান’ পূরণ হতে পারে বলে মনে করেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী বলেন, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে একজন প্রতিমন্ত্রী যে কোনো সময় নিয়োগ করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন তিনি। দু-একটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী পরিবর্তনের কথা থাকলেও আপাতত সেই সম্ভাবনা নেই।
করোনাকালে আলোচনায় থাকা একটি মন্ত্রণালয়ে পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে সমালোচনার মুখোমুখি হলেও উদ্ভূত পরিস্থিতি আপাতদৃষ্টিতে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছেন ওই মন্ত্রী। মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী পরিবর্তনের গুঞ্জন থাকলেও সহসাই পরিবর্তন হচ্ছে বলে মনে হয় না।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়ের পর দলটির সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৭ ফেব্রুয়ারি নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেন। এরপর ২০১৯ সালের ১২ জুলাই স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়। ইমরান আহমদকে প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী থেকে পূর্ণ মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্য ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরাকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নতুন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
এ বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর দায়িত্ব পরিবর্তন করা হয়। ওই সময় গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়। সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী করা হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরুকে দায়িত্ব দেয়া হয় সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর।