ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান

অপরাধ অর্থনীতি আইন ও আদালত এইমাত্র জাতীয় রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক : শুক্রবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে এ অভিযান পরিচালিত হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি এর সার্বিক নির্দেশনায় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীন এর পরামর্শ এবং জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ঢাকা মহানগরীর মালিবাগ বাজার, শান্তিনগর বাজার, মাদারটেক বাজার, নন্দিরহাট বাজার ও বাসাবো এলাকার বিভিন্ন বাজার ও প্রতিষ্ঠানে এ অভিযান পরিচালনা করেন প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস ও সহকারী পরিচালক তাহমিনা বেগম।


বিজ্ঞাপন

এছাড়াও ঢাকার বাইরে বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে বিভিন্ন বাজারে তদারকি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে।

তদারকিকালে আলু, চাল, পেঁয়াজ, সয়াবিন তেল, আদাসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য যৌক্তিক মূল্যে বিক্রয় হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং করা হয়। এছাড়া পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, মূল্য তালিকার সাথে বিক্রয় রশিদের গরমিল, পণ্যের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ না করা, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ ও পণ্য, নকল পণ্য, ওজনে কারচুপিসহ ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
তদারকিকালে চাল ,আলু,পেঁয়াজের মূল্য নিয়ে কারসাজি না করা এবং বাধ্যতামূলকভাবে পণ্যের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণের বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়।

এ প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা বলেন ভোক্তা স্বার্থ সুরক্ষায় নিয়মতান্ত্রিক ও নৈতিকতার সাথে ব্যবসা পরিচালনাকে এ অধিদপ্তর সবসময়ই স্বাগত জানায়।
কিন্তু অসাধু ও অনৈতিক যে কোন কাজের ক্ষেত্রে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জিরো টলারেন্স প্রদর্শন করবে।

এছাড়া ও কোন পণ্য বা সেবা ক্রয় করে প্রতারিত হলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করে প্রতিকার নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

শুক্রবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্বাবধানে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয়ের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক(গবেষণাগার) প্রনব কুমার প্রামানিকের সহযোগিতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মোবাইল টিম কর্তৃক ঢাকা মহানগরীর ছাপড়া মসজিদ ও লালবাগ বাজারে তদারকি করা হয়। এ সময় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন ও তা মেনে চলার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণে ব্যবসায়ীদের পণ্য ক্রয়ের রশিদ পরীক্ষা করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।