মানহীন-মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধে বাজার সয়লাব

অপরাধ আইন ও আদালত এইমাত্র রাজধানী সারাদেশ স্বাস্থ্য

এম এ স্বপন : মানহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধে বাজার সয়লাব। রাজধানীর কলেজ গেট এলাকায় ওষুধ প্রশাসনের অভিযানে হৃদরোগ বা কিডনিজনিত সমস্যার মতো সংবেদনশীল রোগের ওষুধেরও দেখাতে পারেনি বৈধ কাগজ। মিলেছে মেয়াদহীন ওষুধও।
এ দিকে মোবাইল কোর্ট না থাকায় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ না নিলেও পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক।
পোস্টাল হৃদরোগীদের গুরুত্বপূর্ণ ইনজেকশন। এ ছাড়া কিডনি কিংবা লিভারের মতো জটিল রোগের দামি দামি ওষুধ বিক্রি হচ্ছে দেদার অথচ বিদেশি এসব ওষুধের ফার্মেসিতে আসছে অবৈধ উপায়ে। ব্লাকে আসা এমন ওষুধের যাচাইয়ের সুযোগ না থাকায় এর মান কিংবা দাম থেকে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
এক বিক্রেতা বলেন, লাগেজ পার্টির মাধ্যমে এগুলো দেশে নিয়ে এসেছে। এরপর থেকে এগুলো কিনে রাখব না।
সোমবার ওষুধ প্রশাসনের অভিযানে এর বাইরেও মিলেছে অনুমোদনহীন চর্ম, যৌন ও রক্তচাপের অনুমোদনহীন নানা ওষুধ। এসব ওষুধে বিএসটিআই অনুমোদন থাকলেও ওষুধ প্রশাসনের নিয়ম মেনে তা আনা হয়নি বলছে ডিজিডিএ। পাশাপাশি বেশকিছু দোকানেই মিলেছে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ।
এক দোকানি মালিক বলেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায়, আমার দোকানের কর্মচারী ভুলে ঝুড়িতে না ফেলে, দোকানে রেখে দিয়েছে।
ডিজি ড্রাগ জানিয়েছেন, জব্দ পণ্যের সিজার লিস্ট ধরে নেয়া হবে ব্যবস্থা। নো মাস্ক নো সার্ভিস ব্যবস্থা চালু করতেও দোকানিদের নির্দেশনা দেয় ওষুধ প্রশাসন।
এ নিয়ে দৈনিক সকালের সময় ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে যাচ্ছে। গত ১ নভেম্বর ভেষজ ওষুধ শিল্পে ট্রেডনামের কারসাজী শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে। সংবাদে বলা হয় স্বাস্থ্য সেবার নামে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী জেনেরিক নামে ওষুধের অনুমোদন নিয়ে চুড়ান্ত লেবেল-কার্টনের অনুমোদন ছাড়াই ট্রেড নামের ওষুধ বাজারজাতে সক্রিয় থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অর্থ লোভী অসাধু ব্যবসায়ীরা ট্রেড নামে কারসাজী করে ক্ষ্যান্ত হয়নি, এক ধরনের লেবেল-কার্টনের অনুমোদন নিয়ে ডিলারদের পছন্দের চাহিদা মতো অন্য ধরনের লেবেল-কার্টন বানিয়ে ড্রাগ প্রশাসনকে ধোকাই দেয়নি, জনসাধারনের সাথে প্রতারণায় লিপ্ত রয়েছে। অপরদিকে স্থানীয় ড্রাগ সুপারদের ম্যানেজ করে ইচ্ছে মতো চকচকে রঙিন প্যাকেটে মোড়ানো কেমিক্যাল যুক্ত ওষুধ বাজারজাত করে স্বাস্থ্য সেবার চরম ক্ষতিসাধনে সক্রিয় থাকায় নকল-ভেজাল ও মানহীন কোম্পানীর কাছে মানসম্মত কোম্পানী মার খাচ্ছে। ৪৫০ মিলি সিরাপ ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় এবং ১০০মিলি সিরাপ ১০ থেকে ১১ টাকায় পাইকারী রেটে বিক্রয় করায় পুরো ভেষজ শিল্প এখন বিতর্কের সম্মুখীন। অপরদিকে ফ্ল্যাট রেটে অন্যান্য ওষুধ বিক্রি করায় ব্যবসায়ীক ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে মানসম্মত কোম্পানীর মালিকরা। এদের ক্ষপ্পরে পড়ে ফার্মেসী ব্যবসায়ীরা মুনাফা লাভে মানহীন ওষুধ বিক্রিতে আগ্রহী হওয়ায় সাধারণ মানুষ বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। স্বাস্থ্য সেবার নামে কি হচ্ছে তা ড্রাগ প্রশাসন বাস্তবে দেখলে এসব কোম্পানীর কারখানা বহু আগেই সিলগালা করে দিতেন। কিন্তু সঠিক তদারকির অভাবে অসাধু ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মাফিক ওষুধ বানিয়ে ফ্ল্যাট রেটে বিক্রি করে রাতারাতি কোটিপতি আর জিএমপি গাইডলাইন অনুসরণকারী ব্যবসায়ীরা দিনকে দিন পথে বসার উপক্রম হয়েছে। এতেই ক্ষ্যান্ত হয়নি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা। ক্ষতিকারক ওষুধ বিক্রি এবং বিক্রয় প্রতিনিধি ও ডিলার নিয়োগে তারা প্রডাক্টের ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট করে বিজ্ঞাপন প্রচার করছে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ।
নোয়াখালীর ইউনিক ফার্মা আয়ুর্বেদিক, লাইসেন্স নং-৮৭। প্রতিষ্ঠানটি ট্রেড নামে বাজারজাত করছে রোটেক্স, সেক্সন, ভি-টাস, ইউ-ভিটা, ভিগার, লিভারজিন ও ইউজেম। সেক্সন-ইউনিক হারবাল ল্যাবরেটরীজ প্রা. লি., রোটেক্স-ইউনিক হারবাল ল্যাবরেটরীজ আয়ু লি., ভি-টাস-ইউনিক হারবাল ল্যাবরেটরীজ লি., ইউ-ভিটা-ইউনিক হারবাল ল্যাবরেটরীজ প্রা. লি.। এক এক প্রডাক্টে কোম্পানীর নাম আলাদা আলাদাভাবে মুদ্রন করা হয়েছে। অর্থ্যাৎ চারটি ওষুধ চারটি কোম্পানীর নাম কারসাজী করে ক্ষ্যান্ত হয়নি, ট্রেডনামের চূড়ান্ত অনুমোদন ছাড়াই কোম্পানীর নিজস্ব আইডি দিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচার করে অবৈধ ভাবে এসব ওষুধ বাজারজাত করছে।
আকসা ফার্মাসিউটিক্যাল ইউনানী, লাইসেন্স নং-২৯৪। প্রতিষ্ঠানটি ট্রেড নামে চূড়ান্ত লেবেল-কার্টনের অনুমোদন ছাড়াই বাজারজাত করছে আমলকি-প্লাস, চাইল্ড গ্রো, প্রোলিব, প্রোরোল্ব-৩০, হাইপোলিন, মাল্টি-এস, জি-রোজ, ভিকোলেক্স, ট্রিভো, স্প্রীন-১২০ ও লেডিকেয়ার। আকসা ফার্মাসিউটিক্যাল ইউনানীর নামের আইডি দিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় এসব ওষুধের ছবি পোষ্ট করে বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে ট্রেড নামে বাজারজাত করছে। অথচ ড্রাগের ওয়েবসাইটে এসব ওষুধের কোনো তালিকা পাওয়া যায়নি।
কুমিল্লার জনকল্যাণ ল্যাবরেটরীজ আয়ুর্বেদিক, লাইসেন্স নং-১৫০। প্রতিষ্ঠানটি বাজারজাত করছে জেও-ভিটা, রেসবেরী, স্ট্রবেরি, জে-কফ, জে-কার্ড, জে-পিউরন, জেক্যাল-ডি, জে-কেয়ার, জে-রেক্স, জে-ভিট-গোল্ড ও জে-এক্স-কেয়ার নামের ওষুধ। এসব ওষুধের চুড়ান্ত লেবেল-কার্টনের অনুমোদন আছে কিনা তা ড্রাগের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়নি। তবে শেড ফার্মা আয়ুর জিও-ভিটার অনুকরণে হুবহু লেবেল-কার্টন বানিয়ে জেও-ভিটা বাজারজাত করছে যা সম্পূর্ণ অবৈধ।
আরিভা ল্যাবরেটরীজ ইউনানী, লাইসেন্স নং-২৫৫। প্রতিষ্ঠানটি বাজারজাত করছে লিকোভা, লিভাটেক, রিভেলিভ, রিভেজিম, রিডাসেব ও রিভেক্স। ডাইরিভা, লিভাটেক, লাইগেট, নিশাত-ট্যাব ও সেব ওষুধের ট্রেড নামের অনুমোদন না থাকলেও প্রকাশ্যে বিজ্ঞাপন প্রচার করে বাজারজাত করছে। ৯টি প্রডাক্টের ৬টি ট্রেড নামের অনুমোদন থাকলেও ১৬টি ওষুধ বাজারজাত করছে। এছাড়াও ডাইরিভা ওষুধের লেবেল-কার্টনে শিশুদের ছবি মুদ্রন করে বাজারজাত করছে। পাশাপাশি কোম্পানীর মালিকের আইডিতে ওষুধের ছবি পোষ্ট করে বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে ডিলার নিয়োগ দিচ্ছেন যা সম্পূর্ণ অবৈধ।
কুমিল্লার এনসি ল্যাবরেটরীজ আয়ু। লাইসেন্স নম্বর পাওয়া না গেলেও জসিম নামের একজন ব্যবসায়ী এনসি ল্যাবরেটরীজ নামে বাজারজাত করছে- রেভিকফ, এনসি-আমলা, ইরেস্ট, এক্স-ফেরো, এনসি-লিপ্রো, এন-টক্স, ল্যাক্সারিড, ডায়াগার্ড ও এনসিÑভিট নামের ওষুধ। কোম্পানীর নাম যেখানে ড্রাগের ওয়েবসাইটের তালিকায় নেই সেখানে ট্রেড নামে এসব ওষুধের ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট করে বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে কিভাবে ওষুধ বিক্রি করে তা নিয়ে বির্তক চলছে।
বি-বাড়িয়া রিকন ল্যাবরেটরীজ ইউনানী, লাইসেন্স নং-৩০। প্রতিষ্ঠানটির ৩৪টি ওষুধ জেনেরিক নামে অনুমোদন থাকলেও ট্রেডনামে বাজারজাত করছে রিকোভিট, জিনোসিন, রিক্যাল-১৩, পি-ক্যাপ, নাইট-ক্যাপ, রিজাইম, হামক্যাপ, রাফি, রিকোভিট-ডিএস, ইউ-রেস, আরক্যাল-১০, আইরোকন, রিকোলান ও ডিবালিন। প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব আইডি দিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে এসব ওষুধ বাজারজাত করছে। এমনকি রিকোলান ওষুধের লেবেল-কার্টনে ছেলে-মেয়ের অশালীন ছবি ব্যবহার করছে, যা সম্পূর্ণ অনৈতিক।
নারায়নগঞ্জের সেফটি হেলথ ইউনানী ল্যাবরেটরীজ, লাইসেন্স নং-১২৮। প্রতিষ্ঠানটির মালিক ৬জন বলে জানা গেছে। তারা নিজেরা ওষুধ বাজারজাত না করে মিটফোর্ডের আবু তৈয়ব নামের একজন অসাধু ব্যবসায়ীর সাথে মাসিক চুক্তিতে ব্যবসা করছে। এই ব্যক্তি ট্রেড নামে উৎপাদন ও বাজারজাত করছে সেফগ্লোবিন, ডায়মোসেফ, সেফবিউটন, জিনসিন, বাসক, সেফটোলিভ ও সেইফটিন নামের ওষুধ। ১২টি ওষুধ জেনেরিক নামে অনুমোদন থাকলেও ট্রেড নামে বাজারজাত করছে তাই নয়, দুটি ফেসবুক আইডিতে ওষুধের ছবি পোষ্ট করে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ট্রেড নামে বাজারজাত করছে। প্রতিষ্ঠানটি ড্রাগ প্রশাসনের সেলস অনুমতির তোয়াক্কা না করে নকল-ভেজাল ব্যবসায়ী আবু তৈয়বকে দিয়ে ক্ষতিকারক ওষুধ ফ্লাট রেটে বিক্রি করছেন। প্রতিষ্ঠানটি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিভাবে অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
গাজীপুরের ইমা ইউনানী ল্যাবরেটরীজ, লাইসেন্স নং-২৪১। প্রতিষ্ঠানটি ড্রাগ আইনের তোয়াক্কা না করে কোম্পানীর নিজস্ব আইডি ছাড়াও ৭টি ফেইসবুক আইডিতে ওষুধের ছবি পোষ্ট করে বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে ট্রেড নামে বাজারজাত করছে-ইমাটন, ইমাফল, ইমা-কোল্ড ও ইমাফিট নামের ওষুধ। ওষুধ কোম্পানীর আঁড়ালে ইমা হারবাল কসমেটিক্স নামে যে সব পণ্য বিক্রি করছে তা ওষুধ কারখানায় উৎপাদন করার অভিযোগ উঠেছে।
ঢাকার বাবু বাজারের ইউনিক ল্যাবরেটরীজ ইউনানী, লাইসেন্স নং-২৭২। প্রতিষ্ঠানটির ২২টি ওষুধ জেনেরিক নামে অনুমোদন থাকলেও ট্রেড নামে বাজারজাত করছে-ভেজটন, সারবোলিন, ক্যাবডিন, ইউনিটন, ইউনিড, মেসটিনন, জুবুভিট, জেবরিং, জিংজেং ও ইজটন। প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব ফেইসবুক আইডিতে ছবি পোস্ট করে বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে অবৈধভাবে এসব ওষুধ বাজারজাত করছে।
বগুড়ার এ্যাপেক্স ড্রাগ ল্যাবরেটরীজ ইউনানী, লাইসেন্স নং-৩৪। প্রতিষ্ঠানটির ১৯টি ওষুধ ড্রাগের ওয়েবসাইটে দেয়া থাকলেও ট্রেড নামে বাজারজাত করছে- এডিশন, সিনাপেক্স, লেডিপেক্স, এপিরেক্স, এডিটন, এপিজাইন, মেনোকফ, এডিবেল, রক-অন, এডিহেপ ও এ্যাপেক্স জিনসিন নামের ওষুধ। প্রতিষ্ঠানটি শরবতে জিনসিনকে এ্যাপেক্স জিনসিন বানিয়ে মিটর্ফোডসহ রাজধানীর সব ফুটপাতে হকার দিয়ে বাজারজাত করছে, তা রাজধানীর কাওরানবাজারে পাওয়া যায়।
কুষ্টিয়ার বৃক্ষ ইউনানী ল্যাবরেটরীজ, লাইসেন্স নং-৫০। প্রতিষ্ঠানটির ৮টি ওষুধ জেনেরিক নামে অনুমোদন থাকলেও ট্রেড নামে বাজারজাত করছে-রুচি-প্লান্ট, প্লানভিট, জিং-প্লান্ট, প্লান্ট-গোল্ড, আমলা-প্লান্ট, লিভো-প্লান্ট, ফিমো-প্লান্ট, কার্গো-প্লান্ট, প্লান্ট-কফ, গ্যাস্টো-প্লান্ট ও তুলসী। কোম্পানীর নিজস্ব নামের ফেইসবুক আইডি ছাড়াও ৩টি আইডিতে ওষুধের ছবি পোস্ট করে বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে ডিলার নিয়োগ দিয়ে এসব ওষুধ বাজারজাত করছে।
সাভারের জীনি ইউনানী ল্যাবরেটরীজ লি., লাইসেন্স নং-১৩। প্রতিষ্ঠানটির ২৫টি ওষুধ জেনেরিক নামে অনুমোদন থাকলেও ট্রেড নামে বাজারজাত করছে টনোলিভ, জীনি-ভিট, হার্বভিটা, ভিগরাস, বিফিগ্রা, ইউট্রাজেন, হাইপারলিক্স, লিভোজিন, বেবী-কেয়ার, ভিসেনিল ও গাইনোরিক। কোম্পানীর নিজস্ব ফেইসবুক আইডিতে ওষুধের ছবি পোস্ট করে বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে ট্রেড নামে বানিজ্য করার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি লেবেল-কার্টনের চুড়ান্ত অনুমোদন ছাড়াই ডিলারদের পছন্দ মতো লেবেল-কার্টন বানিয়ে ডিজিটাল ব্যবসায় লিপ্ত রয়েছে।
রংপুরের ইকো ল্যাবরেটরীজ ইউনানী, লাইসেন্স নং-২২৪। ড্রাগের ওয়েবসাইটের তালিকায় কোম্পানীর নাম ও ওষুধের নাম অন্তর্ভূক্ত না থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ট্রেড নামে বাজারজাত করছে ইকোলাক, পিউরিটিক, ইকোমেন, ইকোসিড, ইকো-জিনজিন, সাইট্রল ও ইকোপার। কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধিরা তাদের ফেইসবুক আইডিতে ওষুধের ছবি পোষ্ট করে ডিলার নিয়োগের বিজ্ঞাপন প্রচার করছে যা সম্পূর্ণ অবৈধ।
চট্টগ্রামের প্রগ্রেসিভ ল্যাবরেটরীজ ইউনানী, লাইসেন্স নং-১০২। ড্রাগের তালিকায় কোম্পানীর নাম ও প্রডাক্টের তালিকা না থাকা সত্ত্বেও বাজারজাত করছে-রুচিট্যাব, রেস্টোসিভ, আমলাসিভ, পাওয়ার-৫০, এসকে-সিভ ও ইউনিক্যাপ। কোম্পানীর ৬/৭ জন পার্টনারশীপ থাকলেও দেলোয়ার মূল ভূমিকায় থেকে অবৈধভাবে কোম্পানীর নবায়ন ছাড়াই ট্রেড নামে ব্যবসা করে আসছে। এদিকে চট্টগ্রামের সেই কথিত কোম্পানী রাতারাতি কিভাবে নারায়নগঞ্জ থেকে ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাত করছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সাভারের কে.ইউ ফার্মাসিউটিক্যাল আয়ু, লাইসেন্স নং-১৩৮। ড্রাগের ওয়েবসাইটের তালিকায় কোম্পানীর নাম ও প্রডাক্টের নাম না থাকা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটি বাজারজাত করছে কে.ইউ জিনসিন, কে.ইউ-ভিট, কে.ইউ-রুচিতা। এমনকি, অসাধু ব্যবসায়ীদের পছন্দের বিভিন্ন কোম্পানীর ওষুধ নকল করে সরবরাহ করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
অবৈধ ভাবে ট্রেড নামে বাজারজাতকারী এসব কোম্পানীর বিরুদ্ধে প্রচলিত ধারায় ব্যবস্থা নেয়ার দাবী বাংলাদেশ আয়ুর্বেদীক শিল্প সমিতি ও বাংলাদেশ ইউনানী শিল্প সমিতির সচেতন নেতাদের।


বিজ্ঞাপন