যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন ও আওয়ামী লীগের জয়জয়কার

জাতীয়

আজকের দেশ রিপোর্ট : দীর্ঘদিন কারাজীবন শেষে, ১৯৫৩ সালের দিকে আওয়ামী লীগ নেতারা মুক্তি পেতে থাকেন। সেই বছরই, ৯ জুলাই আওয়ামী লীগের প্রথম কাউন্সিল ডাকা হয়।


বিজ্ঞাপন

মাওলানা ভাসানীকে সভাপতি ও শেখ মুজিবুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে (পূর্ব পাকিস্তান) আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এরপর একপর্যায়ে শেরে বাংলা একে ফজলুল হককে আওয়ামী লীগে যোগদানের আমন্ত্রণ জানান শেখ মুজিব। মুজিবের আহ্বানে সাড়া দিয়ে চাঁদপুরের এক জনসভায় তিনি আওয়ামী লীগের প্রতি সমর্থন জানান।

কিন্তু পরবর্তীতে তিনি নিজেই কৃষক-শ্রমিক পার্টি গঠন করেন। এর আগে ১৯৩৭ সালে ভারতবর্ষের প্রাদেশিক নির্বাচনে তার কৃষকপ্রজা পার্টি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল।

তবে পাকিস্তান সৃষ্টির পর এই প্রথম তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হলেন এবং নিজের দল নিয়ে ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করেন।

ফলে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সৃষ্টি হলো যুক্তফ্রন্ট। এর সঙ্গে থাকা অন্য দলগুলো হলো গণতন্ত্রী দল, নেজামে ইসলাম ও ফেলাফতে রব্বানী। ১৯৫৪ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নির্বাচনে অংশ নেয় যুক্তফ্রন্ট।

যুক্তফ্রন্টের সভাপতি মনোনীত হয় নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন শহীন সোহরাওয়ার্দী।

বাংলার প্রতিটি প্রান্তে নিরলস প্রচারণা চালাতে থাকেন পূর্বপাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান। এই প্রাদেশিক নির্বাচনে কট্টর ধর্মীয় প্রচারণা উপেক্ষা করে মানবিক অধিকারের পক্ষে নৌকা মার্কায় ভোট দেয় জনগণ।

ফলে ২৩৭টি মুসলিম আসনের মধ্যে ২২৮টি আসনে জয়লাভ করে এই জোট। আওয়ামী লীগ একাই পায় ১৪৩টি আসন।