রাজধানীতে তীব্র যানজট

এইমাত্র রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সোমবার থেকে সীমিত পরিসরে এবং ১ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণায় অনেকেই নিজেদের প্রয়োজনীয় কাজ সারতে বের হয়েছেন। অন্যান্য দিনের চেয়ে সড়কে গাড়ির পরিমাণও বেড়েছে।


বিজ্ঞাপন

আবার অনেকে ঢাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য বের হয়েছেন। ফলে রোববার সকালথেকেই রাজধানীতে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। ব্যস্ত সড়কগুলোয় থেমে থেমে চলছে গাড়ি।


বিজ্ঞাপন

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করে ফাতিমা মারজান বলেন, কাল থেকেই রাজধানীতে অসহনিয় যানজটে। শনিবার অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হয়েছে। আজ সোমবারও যানজটের কারণে কল্যাণপুর থেকে ধানমন্ডির অফিসে পৌঁছাতে সময় লাগে ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিট।

আমিনবাজারের বাসিন্দা ওমর ফারুক জানান, আমিনবাজার থেকে মোটরসাইকেলে ধানমন্ডিতে পৌঁছাতে তার সময় লেগেছে প্রায় তিন ঘণ্টা।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার সাহেদ আল মাসুদ বলেন, লকডাউনের ঘোষণার কারণে অনেকে বের হয়ে কেনাকাটা, প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নিচ্ছেন। গাড়ির পরিমাণ বেড়েছে। আজকে দুটো ফ্লাইওভারেই চার-পাঁচটি গাড়ি নষ্ট হয়েছে। গাড়ি বিকল হলে তা সারাতে বেশ সময় লাগে। তখন গতি কিছুটা কমে যায়। এ ছাড়া বিজ্ঞান কলেজ থেকে শুরু করে তেজগাঁও লিংক রোড মেরামতকাজের জন্য ১০ দিন বন্ধ রাখা হয়েছে। এর কিছুটা প্রভাবও আছে। তবে কোনো সড়কই একদম বন্ধ হয়ে যায়নি। ধীরগতিতে গাড়ি চলছে।

ডিএমপি ট্রাফিক রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার জয়দেব চৌধুরী বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা আজকে জিরো পয়েন্টে কিছু সময়ের জন্য সড়ক আটকে আন্দোলন করে। এ ছাড়া এমনিতেই গাড়ির সংখ্যা বেড়ে গেছে। ঢাকাও ছাড়ছে অনেকে। সব মিলিয়ে রাজধানীতে যানজট আজকে কিছুটা বেশি। তবে পুলিশ যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।