নিজস্ব প্রতিবেদক : সদ্য বিলুপ্ত ঢাকা ওয়াসার পিপিআই প্রকল্পের সুবাদে ব্যবস্থাপনা কমিটি, প্রকল্প ব্যবস্থাপক, স্থায়ী কর্মচারিদের সাথে মাস্টাররোলের কর্মচারীরাও কোটিপতি বনে গেছেন। দুর্নীতির মহোৎসোবে কেউ অংশ নিতে ভূল করেনি। পিপিআই ভূক্ত ৭টি রাজস্ব জোনের প্রকল্প ব্যবস্থাপকগণ দুর্নীতিতে ছিলেন অতি তৎপর। এরমধ্যে পিপিআই’র ৬ নম্বর রাজস্ব জোনের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সামসুল ইসলাম খান দুর্নীতিতে ছিলেন বেপরোয়া। পিপিআই’র ক্যাশিয়ার হাবিব উল্লা ভূইয়ার খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন সামসুল ইসলাম। তার সাথে যোগসাজস করে নানা প্রক্রিয়ায় প্রকল্প থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। যার সুবাধে তিনি আজ প্রচুর অর্থ বিত্তের মালিক । উত্তরায় নিজস্ব বিলাস বহুল ফ্লাটে বসবাস করেন। ঢাকা শহরে রয়েছে একাধিক ফ্লাট। সাভারে একাধিক প্লট ক্রয় করেছেন। বরিশালের বাবুগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে গড়েছেন প্রচুর বিত্ত বৈভব। রয়েছে একাধিক প্রাইভেট কার। নিজের প্রাইভেট কারে অফিসে আসা যাওয়া করেন। কিন্ত ড্রাইভারও ওয়াসার আবার ডিজেল, মবিল, মেরামত, যন্ত্রপাতি সব ওয়াসার টাকায়। বড়ই বুদ্ধিমান তিনি। সরকারী টাকায় নিজের গাড়ি মেরামত, যন্ত্রাংশ সংযোজন করে নেন।
এমন চতুরতার আশ্রয় নিয়েছিলেন পিপিআইতে পিএম’র দায়িত্ব পালনকালে। ৬ নম্বর জোনে দীর্ঘদিন দায়িত্বে ছিলেন। পিপিআইতে তার অনেক আত্মীয় স্বজন কে চাকুরী দিয়েছেন। ক্যাশিয়ারের সাথে যোগসাজস করে পছন্দের ইন্সপেকটরদের ভিআইপি সাইট দিয়েছেন। বিপরীতে নিয়েছেন উৎকোচ আর মাসোহারা। অপছন্দের স্টাফদের নানা ভাবে হয়রানী করেছেন। জোন কার্যালয় ডেকোরেশন, আসবাব পত্র ক্রয়ে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে অন্য জোনের চেয়ে তার ৬ নং জোনে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে বিলাস বহুল ডেকোরেশন করেছেন। ক্যাশিয়ার হাবিব উল্লা’র ঘনিষ্ঠ বলে কথা। রাজস্ব কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও রাজস্ব পরিদর্শক হাবিব উল্লাহ কে নিজের বন্ধু বলে পরিচয় দিতেন।
বর্তমানে তিনি ঢাকা ওয়াসার রাজস্ব জোন-৭ এ রাজস্ব কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন। এখানেও তিনি পুরাতন চরিত্রে অবিচল। আদান প্রদানের পছন্দের ইন্সপেকটরদের ভিআইপি সাইট প্রদান। অপছন্দের স্টাফ বিশেষকরে আউটসোর্সিং এ নিয়োগপ্রাপ্ত স্টাফদের হয়রানী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত বিলিং সহকারী সোহেল মিঞাসহ কয়েকজনকে চাকুরীচ্যুত করার উদ্যেগ নিয়েছেন।