আজকের দেশ রিপোর্ট : গুলশান হামলার পঞ্চম বার্ষিকীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসে র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন দাবি করেছেন, দেশে জঙ্গিদের আর হামলা চালানোর সামর্থ্য নেই। তাদের (জঙ্গি) চেয়ে আমরা ওয়ান স্টেপ এগিয়ে আছি। জঙ্গিদের বাংলাদেশে কোনো ঠাঁই নেই, বলেছেন তিনি।

বাংলাদেশের ইতিহাসে ভয়াবহতম জঙ্গি হামলা ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে।

পাঁচ তরুণ জঙ্গি রোজার ঈদের এক সপ্তাহ আগে পিস্তল, সাব মেশিনগান আর ধারালো অস্ত্র হাতে ঢুকে পড়েছিল সেই রেস্তোরাঁয়।
তারা জবাই ও গুলি চালিয়ে ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে। হামলা ঠেকাতে গিয়ে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। পরে কমান্ডো অভিযানে ওই জঙ্গিদের হত্যা করা হয়।
সেই হামলার পঞ্চম বার্ষিকীতে মঙ্গলবার বাহিনীর সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এসে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, সেই হামলার পরবর্তী সময় থেকে এ পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী জেএমবির আমির সারোয়ার জাহান গ্রেপ্তার এড়াতে পালাতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছে।
গুলশান হামলার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানে অনেক জঙ্গি গ্রেপ্তার হওয়ার পাশাপাশি শীর্ষনেতাদের প্রায় সবাই মারা যান।
ওই হামলার মামলায় রায়ে ২০১৯ সালে আদালত সাত জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
আল মামুন বলেন, এরই মধ্যে এই মামলায় আদালতে বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।আমরা আশা করছি, শিগগিরই এ হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে রায় কার্যকর হবে।
গুলশান হামলার পর র্যাব জঙ্গি সংগঠনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ নেতা, অর্থদাতা ও বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে সংগঠনগুলোকে দুর্বল করে দিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
পাশাপাশি তিনি বলেন, তারপরও সব দিকে সতর্ক নজর রয়েছে র্যাবের।
গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে কোথাও কিছু করলেই আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি, ফলে তারা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সুযোগই পায় না।
আমাদের জঙ্গি দমন কার্যক্রমে অভ্যন্তরীণ প্রতিযোগিতাও আছে। যার ফলে ওয়ান স্টেপ এগিয়ে আছি।
জঙ্গি দমনই শুধু নয়, র্যাব ভেজালবিরোধী অভিযান, মাদকবিরোধী অভিযানে বড় ধরনের সাফল্য দেখছে বলে দাবি করেন পুলিশের অধীন বিশেষায়িত এই বাহিনীর মহাপরিচালক।