গত ৭ মাসে ২১ নারী উদ্ধারসহ ১৯ আসামি গ্রেফতার

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিনিধি : জামালপুরে চলতি বছরের সাত মাসে (জানুয়ারি-জুলাই) অপহরণ এবং নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলায় সংশ্লিষ্ট ২১ জন ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় দীর্ঘদিন পলাতক থাকা ১৯ আসামিকে।


বিজ্ঞাপন

শেরপুর, জামালপুর, টাঙ্গাইল ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তাদেরকে উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেফতার করে জামালপুর জেলা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

উদ্ধার নারীদের মধ্যে একজন আট বছর আগে অপহৃত হয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকায় ভুক্তভোগীদের পরিচয় জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

মামলাগুলোর তদন্তভার সিআইডির উপর ন্যস্ত করার নির্দেশ দেয় আদালত। ভুক্তভোগীদের উদ্ধারে স্বস্তি ফিরেছে ভুক্তভোগীদের পরিবারের, সিআইডির তৎপরতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তারা।

সংশ্লিষ্ট সুত্র থেকে জানা যায়, উদ্ধারের পর ভুক্তভোগীদের ধর্ষণ সংক্রান্ত মেডিকেল পরীক্ষা, বয়স নির্ধারণ পরীক্ষা সম্পন্নের পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি আদালতে রেকর্ডের ব্যবস্থা করে সিআইডি।

পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী উদ্ধারকৃতদের মধ্যে কয়েকজনকে গাজীপুর কিশোরী সংশোধনাগার এবং বাকীদেরকে তাদের অভিভাবকের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই এসব মামলার কয়েকটির তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়া হয়েছে।

বাকিগুলোও দ্রুত দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিআইডি জামালপুর’র ইনচার্জ ও সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার এস. এম. মনসুর মূসা।

অন্যদিকে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে অস্ত্র ও ধর্ষণ মামলাসহ বিচারাধীন আট মামলার পলাতক আসামী আজিজুল চোরা. জাহিদুল হাসান, হাসান. আলী খান রয়েছে।

বাকিরা হলেন হত্যা মামলা ও প্রতারণা মামলার আসামি। সিআইডর এসআই মাসুদ রানা, জাকির হোসেন ও মহির উদ্দিন পৃথক পৃথকভাবে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেন।

তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক মামলা তদন্ত ও আসামি গ্রেফতার ভবিষ্যতেও অব্যহত থাকবে বলে জানিয়েছেন চৌকস গোয়েন্দা এস. এম. মনসুর মূসা।