সড়কে নামতে প্রস্তুত গণপরিবহন

এইমাত্র জাতীয়

বিশেষ প্রতিবেদক : সারা দেশে লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় চলবে বুধবার থেকে বাস, ট্রেনসহ সব ধরনের গণপরিবহন। খুলবে দোকানপাট ও রেস্টুরেন্ট। রোববার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে সড়কে নামতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে পরিবহন কোম্পানিগুলো। বিক্রি হচ্ছে অগ্রিম টিকিটও। এ ছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যস্ত দোকান ও রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ।
ঈদুল আজহার পর টানা ১৯ দিন কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধ উঠছে বুধবার থেকে। রোববার দেশব্যাপী লকডাউনের শিথিলতার বিষয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এরপর থেকেই পরিবহন খাতের দীর্ঘ স্থবিরতায় ফিরে প্রাণ-চাঞ্চল্যতা।
প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সোমবার থেকেই চলছে নানা প্রস্তুতি। সকালে রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলো ঘুরে দেখা গেছে, শ্রমিকরা বাস ধোয়ামোছার কাছে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে যন্ত্রপাতি। রং করে বাস চলাচলের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
চালক ও হেলপাররা জানান, অনেক দিন ধরে গাড়িগুলো বসে আছে। তাই ইঞ্জিন চালু করে দেখা হচ্ছে ঠিক আছে কি না। এ ছাড়া ময়লা পড়ে যাওয়ায় তা পরিষ্কার করা হচ্ছে। তবে বাস কাউন্টারগুলো এখনও বন্ধ থাকলেও মঙ্গলবার থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে আগাম টিকিট বিক্রিও অংশ হিসেবে সকাল ৮ থেকে শুরু হয়েছে কমলাপুর রেলস্টেশনে টিকিট বিক্রি। সোমবার দেওয়া হচ্ছে ১১, ১২ ও ১৩ তারিখের টিকিট। একই সঙ্গে টিকিট বিক্রি হচ্ছে অনলাইনেও। দীর্ঘদিন পর কাউন্টারে টিকিট কাটতে পেরে খুশি যাত্রীরা। কোনো ঝামেলা ছাড়া টিকিট নিতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেন রেল যাত্রীরা।
কমলাপুর রেলস্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলাম জানান, শতভাগ টিকিট বিক্রি হবে কাউন্টার ও অনলাইনে। সেক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতার অংশ হিসেবে স্টেশন ও ট্রেনে জীবাণুনাশক ছিটানো, যাত্রীদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া ও মাস্ক বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া কমলাপুর যেসব ট্রেন অবস্থান করছে, সেগুলো যথারীতি চলাচল করবে। আর ঢাকার বাইরে যেসব ট্রেন অবস্থান করছে সেগুলো ঢাকায় আসার পর একইভাবে স্বাভাবিক নিয়মেই সব ট্রেন চলবে।
অন্যান্য খাতের মতো বুধবার থেকে খুলবে দোকানপাট ও শপিংমল ও রেস্টুরেন্ট। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় ব্যস্ত রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, সরকারের প্রজ্ঞাপন বা নির্দেশনা অনুযায়ি সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েই রেস্টুরেন্ট খোলা হবে। যে কেউ বিধিবিধান পাল করবে না, তার দায়িত্ব অ্যাসোসিয়েশন নেবে না।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সড়ক, রেল ও নৌপথে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। আর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিংমল, মার্কেট, দোকানপাট ও রেস্টুরেন্ট চলবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।


বিজ্ঞাপন