নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলা চলচ্চিত্রের প্রয়াত এ্যাকশন কিং আবুল খায়ের জসিম উদ্দিন ওরফে নায়ক জসিম এর জন্মদিন আজ। তিনি ১৯৫০ সালের ১৪ আগস্ট ঢাকার নবাবগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। জসিম একাধারে মুক্তিযোদ্ধা, প্রযোজক ও ফাইট ডিরেক্টর ছিলেন। চলচ্চিত্রের ভয়ংকর ভিলেন থেকে নায়ক হয়ে যে দুঃসাহসী পরিচয় দিয়েছেন। সেটা বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
এ দুঃসাহসিক কাজে শতভাগ সফল হয়েছেন। বাংলাদেশের সিনেমাপ্রেমী দর্শকের হৃদয়ে শক্ত একটি আসন তৈরি করে নিয়েছেন। নিজের স্ব-যোগ্যতা বলে নিজেকে নিয়ে গিয়েছেন এক অনন্য উচ্চতায় দর্শকপ্রিয়তা ও খ্যাতির শীর্ষে। বাংলা চলচ্চিত্র জগৎ তার কাছে চীরঋনী ও চীরকৃতজ্ঞ।
প্রয়াত জসিমের সাথে অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয়ের স্মৃতিময় অভিজ্ঞতা আছে সহকর্মীদের, যা বলে বা লিখে শেষ করবার মতো নয়। অসংখ্য চলচ্চিত্রে তারা জুটি হিসেবে অভিনয় করেছেন। বিশেষ করে দেশের বাহিরে আমেরিকা,লন্ডন,ও নেপালে শুটিংয়ের চমৎকার অভিজ্ঞতার মধুময় স্মৃতি আজো অকপটে মনে পড়ে তার সহকর্মীদের।
জসিম অভিনীত অসংখ্য চলচ্চিত্র দর্শকনন্দিত হয়েছে সুপার বাম্পারহিট হয়ে আজও বাংলা সিনেমাপ্রেমী দর্শকের হৃদয়ে গেঁথে আছে। জসিম জীবদ্দশায় সব সময় একটি ব্যাপারে খুব আফসোস করতেন। তার মনের ভিতরে দুঃখের ক্ষোভ ছিলো।
সহকর্মীদের সাথে দেখা হলেই শুধু বলতেন ম্যাডাম আমি কি ভালো অভিনয় করিনা বলেন তো, এতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করলাম একটা জাতীয় পুরস্কারও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ভাগ্যে জুটলোনা। এনিয়ে একদিন অঝোর ধারায় কেঁদেছেন।
তখন উপস্থিত সহকর্মীরা বুজিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেছেন। এমনকি তারা বলেছেন, আপনি যে দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছেন এটাই একটা শিল্পী জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি সবচেয়ে বড় পুরস্কার। এ কষ্ঠটাই জসিমের মনে অনেক বেশি যন্ত্রনা দিতো প্রতিনিয়ত।
প্রয়াত নায়ক জসিম অভিনীত দর্শকনন্দিত কালজয়ী উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো।
দরদী শত্রু, অভিযান, ভাইজান, মরুর বুকে, দেশ বিদেশ, নেপালি মেয়ে, হুুশিয়ার, উচিৎ শিক্ষা, সংঘর্ষ, আদম বেপারী, রাজমুকুট, আলাদীন আলীবাবা সিন্দাবাদ, বৌ কথা কও, বিস্ফরোন, প্রতিশোধ, অগ্নিপুরুষ, হিরো, মহান, হিম্মতওয়ালী, দুঃখের সাথী, যাদুনগর, জুলুমের দুশমন, বাংলার নায়ক, সারেন্ডার, ভাই আমার ভাই, কালিয়া, টাইগার, দোস্ত দুশমন ইত্যাদি।