সিরাজউদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন এন্ড কলেজে জাতীয় শোক দিবস পালিত

ঢাকা

শেখ রাজীব হাসান, টঙ্গী : ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কময় ও বেদনার দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী। জাতীয় শোক দিবসকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন ও নেতা কর্মী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে কর্মসুচী পালন করছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও ১৫ই আগস্টে নিহত সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গাজীপুরের স্বনামধন্য ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সিরাজউদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন এন্ড কলেজে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিশেষ রচনা প্রতিযোগীতা, বঙ্গবন্ধুর জীবনী বিষয়ক আলোচনা ও সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ১৫ই আগস্ট শনিবার সকাল থেকে বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে কলেজ হলরুমে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়।
সিরাজ উদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ওয়াদুদুর রহমানের সভাপতিত্বে জাতীয় শোক দিবস উৎযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জাহান আরা বেগম (সহ-প্রধান-প্রভাতী শাখা), মোঃ মুজিবর রহমান (সহ-প্রধান-দিবা শাখা), হাবিবুর রহমান (ইনচার্জ- ভোকেশনাল শাখা), হাজী আলতাফ হোসেন (শিক্ষক প্রতিনিধি), মোঃ মহসিন (প্রভাষক), সিনিয়য় শিক্ষক রতন কুমার ঘোষ ও আবু বকরসহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অবিভাবকগণ।
সিরাজউদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন ও কলেজের অধ্যক্ষ ওয়াদুদুর রহমান জাতীয় শোক দিবসের ইতিহাস সম্বন্ধে ছাত্র, ছাত্রীদে উদ্দেশ্যে বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিন জাতি হারিয়েছে তার গর্ব, আবহমান বাংলা ও বাঙালির আরাধ্য পুরুষ, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এ দিনে বাঙালি জাতির ইতিহাসে কলঙ্ক লেপন করেছিল সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী কর্মকর্তা আর ক্ষমতালিপ্সু কতিপয় রাজনীতিক। রাজনীতির সঙ্গে সামান্যতম সম্পৃক্ততা না থাকা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু পরিবারের নারী-শিশুরাও সেদিন রেহাই পায়নি ঘৃণ্য কাপুরুষ এ ঘাতকচক্রের হাত থেকে।
সেদিন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আরও প্রাণ হারান তাঁর সহধর্মিণী, তিন ছেলেসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্য। বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। এর পর থেকেই জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করে দিনটি।


বিজ্ঞাপন