বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরে বাণিজ্য বন্ধ ছিল

অর্থনীতি

নিজস্ব প্রতিনিধি : যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ১ দিনের জন্য বন্ধ ছিল । জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় রোববার (১৫ আগস্ট) একদিনের জন্য এ পথে বাণিজ্য বন্ধ ছিল ।


বিজ্ঞাপন

তবে শর্তসাপেক্ষে বিশেষ ব্যবস্থায় দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে। এ ছাড়া সোমবার (১৬ আগস্ট) পুনরায় বেনাপোলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য শুরু হয়েছে ।

এ পথে আমদানি পণ্যের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য শিল্প-কলকারখানার কাঁচামাল, গার্মেন্টস, কেমিকেল, মেশিনারি, খাদ্যদ্রব্য এবং অক্সিজেন। রপ্তানি পণ্যের মধ্যে পাট ও পাটজাত পণ্য রয়েছে।

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বলেন, জাতির জনকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় শোক দিবসে সরকারি ছুটি থাকায় এ পথে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল । সোমবার ১৬ আগস্ট সকাল থেকে আবারও বাণিজ্য শুরু হয়েছ ।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব জানান, এ পথে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সচল রয়েছে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে শর্তসাপেক্ষে স্বল্প পরিসরে যাতায়াত করছেন যাত্রীরা।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্থল বাণিজ্যের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে বেনাপোল স্থলবন্দর। এই বন্দর দিয়ে বছরে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে।

এ বন্দরে পণ্য লোড-আনলোডের জন্য ছয়টি ক্রেন ও পাঁচটি ফর্কলিফট রয়েছে। এ ছাড়া ৩২টি শেড ও ১০টি ইয়ার্ড রয়েছে। যেখানে পণ্য ধারণক্ষমতা ৫১ হাজার টন।

বর্তমানে বন্দরটিতে এক লাখ টনের বেশি পণ্য রয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে ভারত থেকে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ পণ্যবোঝাই ট্রাক বেনাপোল স্থলবন্দরে প্রবেশ করে, তবে বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে তা অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। শুধু জরুরি পণ্য ছাড়া কোনো ট্রাক দেশে প্রবেশ করছে না।

দেশে সরকার অনুমোদিত ২৪টি স্থলবন্দরের মধ্যে চলমান রয়েছে ১২টি। এসব বন্দর থেকে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আসে বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে।

বেনাপোল বন্দর থেকে ভারতের প্রধান বাণিজ্যিক শহর কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার।

যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ার কারণে এ পথে প্রথম থেকে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের আমদানি, রপ্তানি বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি।

আমদানি পণ্যের মধ্যে শিল্পকারখানার কাঁচামাল, তৈরি পোশাক, গার্মেন্টসসামগ্রী, কেমিক্যাল ও খাদ্যদ্রব্য উল্লেখযোগ্য। রপ্তানি পণ্যের মধ্যে পাট, পাটজাত দ্রব্য, তৈরি পোশাক, কেমিক্যাল, জুট, গার্মেন্টস ও মাছ উল্লেখযোগ্য।