নিজস্ব প্রতিবেদক : শুধু ঢাকা বিভাগেই সাড়ে তিন হাজার মাদক কারবারি রয়েছে বলে জানিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। দুই মাস আগে সংস্থাটির করা এক হালনাগাদ তালিকায় এ তথ্য উঠে এসেছে। তালিকাভুক্ত এই মাদক ব্যবসায়ীরা কেউ সরাসরি এই কাজে জড়িত, কেউ পৃষ্ঠপোষক, আবার কেউ বিনিয়োগকারী।
শুক্রবার দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো উত্তরের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের প্রধান ও অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুর রহমান।
সংস্থাটি বলছে, ঢাকায় মাদক ব্যবসায় জড়িত এই সাড়ে তিন হাজার ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। তালিকা ধরে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে।
ফজলুর রহমান বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আগেও মাদক কারবারিদের তালিকা তৈরি করেছিল। সম্প্রতি এ তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে। এখন ঢাকা বিভাগের মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা কীভাবে করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মসজিদের ইমাম, জনপ্রতিনিধি, সাধারণ এলাকাবাসী, ভুক্তভোগী, মাদকসেবী, মাদক কারবারিদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য, মামলা বা পূর্বের মাদকসংক্রান্ত অপরাধের ধরন, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যগত সমন্বয় করে অধিদপ্তর নিজস্ব প্রক্রিয়ায় মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা করেছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক বলেন, অভিযান পরিচালনার জন্য লোকবল ও সক্ষমতা আগের তুলনায় বেড়েছে। ফলে অভিযানের সংখ্যা বেড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ফজলুর রহমান জানান, ২১ আগস্ট বনানী ও উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫০০ গ্রাম আইসসহ ১০ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গুলশান, ভাটারা, কুড়িল ও রমনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৫৬০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ (আইস) ও ১ হাজার ২০০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার পাঁচ ব্যক্তি হলেন জাকারিয়া আহমেদ (৩২), তারেক আহম্মেদ (৫৫), সাদ্দাম হোসেন (৩১), শহিদুল ইসলাম খান (৪৮) ও জসিম উদ্দিন (৫০)।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর ভাটারা, গুলশান ও রমনা থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মেট্রো উত্তরের উপপরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান ও সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান।