সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে স্বর্ণা আক্তার (৩০) নামের এক গৃহবধূর শরীরে গরম তেল ঢেলে আগুনে ঝলসে দিয়েছে স্বামী মো. সজনু মিয়া (৩৫)। সাভার জিরানি বাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে গার্মেন্টসে চাকরি করত ভুক্তভোগী স্বর্ণা আক্তার।অপরদিকে সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা বাজারে মনোহারী দোকানের ব্যবসা করে ভুক্তভোগীর স্বামী সজনু মিয়া। স্বামী তার স্ত্রীর বাসায় গেলে রাতে ঘুমের ঔষধ খাওয়াইয়া এ ঘটনা ঘটায়।পরে বাসার মালিক স্বর্ণাকে হাসপাতালে চিকিৎসা না করাইয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে পিংনা এলাকায় শনিবার ভোর রাতে পৌছে দেয়। পরে ভুক্তভোগীর পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি করান।
ভূক্তভোগী গৃহবধূর শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
সজনু মিয়া পিংনা গ্রামের মো. চাঁন মিয়ার ছেলে। স্বর্ণা আক্তার কাজীপুর উপজেলার রাজনাথপুর গ্রামের চাঁন মিয়ার মেয়ে। প্রায় বার বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দশ বছরের ছেলে সন্তান আছে। যৌতুকের দাবি মেটাতে না পারায় শুক্রবার রাতে ঘুমের ঔষধ খাওয়াইয়া স্বামী সজনু মিয়া এ ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ গৃহবধূর পরিবারের।
গৃহবধূ স্বর্ণার মা শিরিনা বেগম জানান, যৌতুকের দাবিতে স্বর্ণাকে প্রায়ই নির্যাতন করতো স্বামী সজনু। গতকাল রাতে স্বাভাবিক ঘুমাতে যায় তারা। তাদের মাঝে এদিনও পারিবারিক কলহে কথা কাটাকাটি হয়। ভোররাতে স্বামী সজনু মিয়া গরম তেল ঢেলে দেয়। তার মেয়ের শরীরের দুই পা, হাত ও বুকের অংশ ঝলসে গেছে। তাকে প্রথমে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করার পরামর্শ দেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেন সরিষাবাড়ী ৫০ শয্যা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ফাহমিদা তিথি।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হলে সরিষাবাড়ী থানার ওসি মীর রকিবুল হক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনা স্হলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্হা নেওয়া হবে।