নিজস্ব প্রতিবেদক : দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে এবার পরীক্ষামূলকভাবে করোনা টিকার আওতায় এলো দেশের শিশুরা। পরীক্ষামূলক এই কার্যক্রমে মানিকগঞ্জের কয়েকটি স্কুলের ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ১২০ শিশুকে দেয়া হয় ফাইজার বায়োএনটেকের করোনা টিকা।
বড় কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা না দিলে দু’সপ্তাহের মধ্যেই সারা দেশের শিশুরা আসবে এই কার্যক্রমের আওতায়। এদিকে, টিকা দিতে পেরে ছোটদের পাশাপাশি খুশি অভিভাবকরাও।
অবসান হলো দীর্ঘ প্রতীক্ষার। স্বপ্নপূরণ হলো ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের। সম্মান মিলল টিকাগ্রহণকারী নাগরিকের।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মানিকগঞ্জের কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজে কয়েকটি স্কুলের ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী প্রায় ১২০টি শিশুর দেহে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয় ফাইজার বায়োএনটেকের করোনার টিকা। যার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এর আগে জন্মনিবন্ধন কার্ডের মাধ্যমে টিকার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে ক্ষুদে শিক্ষার্থীর দল। প্রস্তুত ছিলো বিশ্রামকেন্দ্র, সতর্ক ছিলেন চিকিৎসকদের বিশেষ দল। টিকা নেয়ার পর কিছু সময় বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয় শিশুদের। তবে কারো মধ্যেই দেখা যায়নি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। বরং টিকা নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
তারা বলেন, আজ থেকে আমরা টিকা পাচ্ছি। অনেক আনন্দ লাগছে আমাদের। প্রথম দিন টিকা নেয়া শিক্ষার্থীদের দুই সপ্তাহ পর্যবেক্ষণের পর সারা দেশে বড় পরিসরে শিশুদের টিকা দেয়ার পরিকল্পনার কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ৩০ লাখ শিশুকে দেয়া হবে ফাইজারের টিকা।
তিনি বলেন, সারা দেশের ২১টি স্থানে টিকা কর্মসূচি শুরু হবে। ঢাকায়ও বড় পরিসরে হবে। প্রায় ৩০ লাখ শিশুকে আমরা টিকার আওতায় আনব।
দেশে এখন পর্যন্ত টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন প্রায় ৫ কোটি ৩৭ লাখ মানুষ। এর মধ্যে অন্তত এক ডোজ টিকা পেয়েছেন ৩ কোটি ৭২ লাখেরও বেশি আর দুই ডোজ পাওয়া মানুষের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৮৫। যদিও, নিবন্ধন করেও টিকা পাওয়ার অপেক্ষায় ১ কোটি ৬৪ লাখেরও বেশি মানুষ।