রাজশাহী ও যশোরের বিভিন্ন সরকারি দফতরে দুদকের অভিযান

অপরাধ

দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে বুধবার ২৭ অক্টোবর ৬টি অভিযোগের বিষয়ে ২টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে এবং ৪টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ পূর্বক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে


বিজ্ঞাপন

বিশেষ প্রতিবেদক : রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভা মেয়র ও সহকারী প্রকৌশলী-এর বিরুদ্ধে বিধিমালা লঙ্ঘন করে বিভিন্ন পদে নিয়ােগ প্রদান ও জীপ গাড়ি না থাকা সত্ত্বেও তেল উত্তোলন বাবদ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।


বিজ্ঞাপন

দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ আল আমিন-এর নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম পৌরসভার মেয়র ও সহকারী প্রকৌশলীর অফিসে বুধবার ২৭ অক্টোবর এ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানকালে দুদক টিম বিধিমালা লঙ্ঘন করে বিভিন্ন পদে নিয়ােগ প্রদান সংক্রান্ত নথিপত্র সংগ্রহ করে।

সহকারী প্রকৌশলীকে সচিব পদে নিয়োগের কোন সুনির্দিষ্ট নিয়ম না থাকার পরেও তাকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মাস্টার রোলে কর্মচারী নিয়োগের বিধান অমান্য করে ২ জন অস্তিত্বহীন ব্যক্তির নামে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা মেয়র কর্তৃক উত্তোলন করা হয়েছে। পৌরসভার নিজস্ব কোনো জীপ গাড়ি নেই এবং এর জন্য কোনো তেল বরাদ্দ নেই, তবে অন্য যানবাহন আছে।

সেক্ষেত্রে যাচাইয়ে জন্য এনফোর্সমেন্ট টিম সংশ্লিষ্ট বরাদ্দ রেজিস্ট্রার সংগ্রহ করেছে। সকল প্রকল্পের তালিকা, বরাদ্দের নথি এবং ব্যয় রেজিস্ট্রারের কপি দ্রুত সরবরাহের জন্য বলা হয়েছে।

এছাড়াও প্রাথমিক অনুসন্ধানে সহকারী প্রকৌশলীর বেশকিছু সম্পদের তথ্য পাওয়া গিয়েছে যা তার আয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে দুদক টিমের কাছে প্রতীয়মাণ হয়েছে।

এক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধানে সুপারিশসহ কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম।

সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শেখপাড়া হতে লাঙ্গলবাঁধ পর্যন্ত ২৬ কি.মি. রাস্তা সংস্কারে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযােগের ভিত্তিতে দুদক সজেকা, যশোর-এর সহকারী পরিচালক মোহাঃ মোশাররফ হোসেন-এর নেতৃত্বে আজ অপর একটি অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম।

দুদক টিম সরেজমিনে উক্ত রাস্তাসহ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে এবং কাজের মান যাচাই করে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নতুন সামগ্রীর সাথে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে পুরাতন সামগ্রী মিশানোর অনুমোদন আছে।

এক্ষেত্রে কাজের অগ্রগতির দালিলিক প্রমাণের সাথে বাস্তব অবস্থার অমিল রয়েছে বলে টিমের কাছে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মাণ হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মনিটরিং এ অভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। ঠিকাদারকে কাজের বিপরীতে ইতোমধ্যে প্রায় ১৮ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে।

এক্ষেত্রে প্রাপ্ত সকল তথ্য প্রমাণাদি যাচাইপূর্বক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে দুদক টিম।

এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ৪ টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।