অনলাইনে চাকুরীর ভুয়া বিজ্ঞাপন দেওয়ার অপরাধে গ্রেফতার ৪

অপরাধ

বিশেষ প্রতিবেদক : র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র‌্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে।


বিজ্ঞাপন

বর্তমান সময়ে বিভিন্ন উঠতি বয়সী যুবক যুবতী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সইবার ক্রাইম সংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করে আসছে।


বিজ্ঞাপন

সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ নির্মূলের পাশাপাশি এসব সাইবার ক্রামই সংক্রান্ত অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র‌্যাবের জোরালো তৎপরতা অব্যাহত আছে।

গত বুধবার ২৭ অক্টোবর একটি সিকিউরিটি কোম্পানীতে ফিল্ড সিকিউরিটি এক্সিকিউটিভ পদে চাকুরীরত একজন অভিযোগকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় যে, তার প্রতিষ্ঠানের মতো হুবহু লোগো সম্বলিত একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পেইজে বিভিন্ন চাকুরীর বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কতিপয় দুষ্কৃতিকারী সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। অভিযোগকারী এর প্রেক্ষিতে ভাটারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।

অভিযোগকারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‌্যাব উক্ত বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে ও জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব উক্ত অভিযোগটি ছায়তদন্ত করে গতকাল বৃহস্পতিবার ২৮ অক্টোবর দুপুর ১টা ২০ মিনিটের সময় র‌্যাব এর একটি আভিযানিক দল ঢাকা মহানগরীর ভাটারা থানাধীন এলাকা হতে ০৪ টি স্মার্ট ফোনসহ নিম্নের ৪ জন অপরাধীকে আটক করে।

আটককৃতরা যথাক্রমে, মোঃ মিজানুর রহমান (৩২), জেলা- দিনাজপুর। মোঃ আতাউর রহমান (৩২), জেলা- বগুড়া। মোঃ সাব্বির হোসেন (২০), জেলা- নরসিংদী এবং মোঃ নুরুল হক (৫৫), জেলা- নরসিংদী।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত আসামীরা তাদের এজাহার বর্নিত নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে এবং উক্ত ঘটনার বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে।

জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত আসামীরা আরো জানায় যে, ধৃত ০১ নং আসামী মোঃ মিজানুর রহমান (৩২) বর্তমানে সিকিউরিটি ৩৬০ লিঃ এ কর্মরত আছে। উক্ত কোম্পানীতে কর্মরত থাকাকালে তার পূর্ব পরিচিত বর্ণিত ধৃত ০২ নং আসামী মোঃ আতাউর রহমান (৩২) রহমান এর সহায়তায় গত ১৯ অক্টোবর তার ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আইডি ব্যবহার করে তাতে একটি পেইজ খুলে সেখানে বিভিন্ন চাকুরীর বিজ্ঞাপন প্রচার করে।

আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের চাকুরী প্রত্যাশিত বেকার লোকজন উক্ত বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে চাকুরী পাওয়ার আশায় বিজ্ঞাপনে থাকা বর্ণিত ধৃত ২ নং আসামীর ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করে। তখন বর্ণিত ২ নং আসামী ধৃত বর্নিত ৩ ও ৪ নং আসামী ছাড়াও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের সহিত যোগাযোগ করতে বলে।

ধৃত আসামীরা পলাতক আসামীদের সহায়তায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরষ্পরের যোগসাজসে সিকিউরিটি ৩৬০ কোম্পানীর সুনাম ক্ষুন্ন করা সহ অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে সিকিউরিটি ৩৬০ কোম্পানীর নাম, পরিচয় ও লোগো হুবহু নকল করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পেইজ খুলে প্রচার পূর্বক প্রতারণা করে আসছে।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন এবং এই ধরনের সাইবার ক্রাইম এর অপরাধীদের বিরুদ্ধে র‌্যাবের জোরালো অভিযান অব্যাহত থাকবে।