৭ নভেম্বর রাজনৈতিক ভোজবাজির দিন

জাতীয়

আজকের দেশ রিপোর্ট : বামপন্থী কয়েকটি দল ৭ নভেম্বরকে ‘সিপাহী বিপ্লব’ হিসেবে ঘোষণা করে নিজেদের ঐতিহাসিক ভুল ও দুর্বলতাকে ঢাকার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। কারণ, স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের ফাঁদে পা দিয়ে কর্নেল তাহের ও তার সতীর্থরা যে ভুল করেছিলেন, তাদের সেই উচ্চাভিলাসের মাসুল দিতে হয়েছে জিয়ার হাতেই নিজেদের জীবন দিয়ে। এমনকি স্বাধীনতার পর থেকে বিপ্লবের স্লোগান তুলে তারা লাখ লাখ সম্ভাবনাময় তরুণকে যেভাবে উস্কে দিয়েছিল, তাদের এই রাজনৈতিক ভুলের পর সেই স্বপ্ন রাতারাতি নস্যাৎ হয়ে গেছে। কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে প্রতারণার দায় এড়াতে, নিজেদের রাজনৈতিক ভুল ঢাকতে, তারা দেশের শ্রেষ্ঠ সেনা অধিনায়কদের নির্মম মৃত্যুর দিনকেই ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে, এটাই হয়তো তাদের নিয়তি!


বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বরের হত্যাযজ্ঞের ওপর ভর করে নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করে। সৈনিকদের ব্যবহার করে, মুক্তিযোদ্ধা অফিসার ও তাদের পরিবারের সদস্যদের রক্তের ওপর দিয়ে, বাংলাদেশকে পাকিস্তানিকরণের ভিত্তি রচনা করে সে। একইসঙ্গে এই রাতের দুর্বত্তায়নের সঙ্গে জড়িতদের পদায়ন করে বিভিন্ন স্থানে। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানীদের নিষ্ঠুরভাবে যারা হত্যা করেছে, তাদের বিচারের প্রক্রিয়া রুদ্ধ করে দেয়।
এজন্য এই দিনটিকে রাজনৈতিক রং দিয়ে ‘জাতীয় সংহতি ও বিপ্লব দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয় জিয়ার নির্দেশে। পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াত জোট নিয়মিত এই দিনটিকে উদযাপন করে আসছে। অথচ, এটি বাঙালি জাতির ইতিহাসের একটি কলঙ্কময় দিন। শোকের দিন এটি, কান্নার দিন।


বিজ্ঞাপন