সরিষাবাড়ীতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীকে চোখ উপড়ে ফেলার হুমকি

সারাদেশ

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আসন্ন ৮ নং মহাদান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে প্রত্যক্ষ হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার ৮ নং মহাদান ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান,ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আনিছুর রহমান জুয়েল শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে সানাকইর বাজারে এক পথ সভায় এ হুমকি দেন ।


বিজ্ঞাপন

মহাদান ইউনিয়নের সানাকইর বাজারে পথ সভায় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনিছুর রহমান জুয়েল এর হুমকি দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেইসবুকে) ভাইরাল হয় এবং ভিডিওতে দেখা যায় তার সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিছিল করেছে।


বিজ্ঞাপন

ভিডিওতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে উদ্দেশ্য করে আনিছুর রহমান জুয়েলকে হুশিয়ার করে বলতে শোনা যায়, আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ওর ঘরের ভিতরে আটকিয়ে রাখা হবে।চারদিক ঘেরাও করে ওকে ঘরের মধ্যে তালাবদ্ধ করব ইনশাআল্লাহ ।কেউ যদি আপনাদের দিকে রক্ত চক্ষু নিয়ে তাকায় তার সেই চোখ উপড়ে ফেলা হবে।
এদিকে নির্বাচনী প্রচারণায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর এরকম বক্তব্যে নিন্দা জানিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন।তিনি আরও বলেন,আমাকে প্রশাসন দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। তার প্রমাণ মিলেছে জুয়েল সাহেবের বক্তব্যে।আমি প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগ এক নেতা বলেন, আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনিছুর রহমান জুয়েল বিভিন্নভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি স্বতন্ত্র প্রার্থীকে মামলা-হামলার হুমকি দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, আনিছুর রহমান জুয়েল জানেন এলাকায় সাধারণ ভোটারদের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা নেই, এই কারণেই তিনি হুমকি ধমকির মাধ্যমে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে দমিয়ে রাখতে চান।

এ বিষয়ে জানতে মহাদান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আনিছুর রহমান জুয়েল এর সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেন,যথাযথ ব্যবস্হা নেওয়া হবে।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে এসিল্যান্ডকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সে বিষয়টি দেখবে।