প্রয়োজন ফুরালে কেউ কাউকেই মনে রাখে না, এটা আবারও প্রমাণ করলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল

অন্যান্য এইমাত্র

আজকের দেশ রিপোর্ট ঃ প্রয়োজন ফুরালে যে কেউ কাউকে মনে রাখে না, তা আবারও প্রমাণ করলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।


বিজ্ঞাপন

অথচ এই তিনিই আগে সারাক্ষণ ‘ম্যাডাম, ম্যাডাম’ বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলতেন। লেগে থাকতেন পিছে পিছে। বিশিষ্টজনরা বলছেন, সামনেই দলের জাতীয় কাউন্সিল।

ফখরুল বুঝে গেছেন খালেদার হাতে কিছু নেই। সব ক্ষমতা তারেকের কাছে। তাই তিনি দলীয় নেত্রী থেকে ‘১০০ হাত’ দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন। এমনকি ভুলেও তার খোঁজ নিতে হাসপাতালমুখীও হচ্ছেন না।

নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্যমতে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ‘আস্থাভাজন’ হিসেবে পরিচিত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তাকে প্রচণ্ড পছন্দ ও বিশ্বাস করেন বিএনপি নেত্রী। এ কারণে দলের অনেক গোপন কথা ও সিদ্ধান্ত তার সঙ্গে পরামর্শ করেই নিতেন তিনি।

কিন্তু সরকারের মহানুভবতায় তার কারামুক্তির পর খালেদা বুঝতে পারেন, বল কোটের বাইরে চলে গেছে। ফখরুল আর তার নিয়ন্ত্রণে নেই। সে এখন তারেক রহমানের তাঁবেদারিতে ব্যস্ত।

এ কারণে একটি ভার্চুয়াল সভায় তাকে দলীয় প্রধান হিসেবেও সে ডেকেছে। ফোন করলেও সে ধরেনা। এমনকি পরবর্তীতে করে না ফিরতি কলও।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদাকে দেখতে তার বোন বেগম সেলিমা ইসলাম, ভাই শামীম ইস্কান্দার ও ছোট ছেলের স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি মাঝে মধ্যে গেলেও একেবারেই সেখানে যান না মির্জা ফখরুল।

শুধু তাই নয়, খালেদাকে নিয়ে কোন কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি তা এড়িয়ে গিয়ে বলেন, সময় হলেই সব জানতে পারবেন।রাজনৈতিক বিজ্ঞজনরা বলছেন, অতি লোভে তাঁতি নষ্ট। ফখরুল সেটি অচিরেই বুঝতে যাচ্ছেন। কারণ তিনি তারেকের চালাকি ধরতে পারেন নি।

যখন পারবেন, তখন আর ফেরার কোন পথ থাকবে না তার। একূল-ওকূল সবই হারাবেন তিনি। চাপড়াবেন মাথাও। সে সময় শত কান্নাকাটি করলেও মন গলবে না খালেদার।