নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ গাজীপুর জেলার শ্রীপুর হতে অপহৃত ভিকটিম মোঃ মনজেল আলী (৫৫)’ কে উদ্ধার সহ ২ জন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১ এর বিশেষ একটি টিম, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।
জানা গেছে, গত বুধবার ২৬ জানুয়ারি, আনুমানিক সাড়ে ৬ টার সময় ভিকটিম মোঃ মনজেল আলী (৫৫) গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানাধীন ফাউগান বাজার থেকে বাড়িতে আসার পথে ফাউগান বাজার-রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্ট পাকা রাস্তার মাঝামাঝি নিশ্চিন্তপুর সাকিনস্থ গজারিবন এলাকায় পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন ব্যক্তি ১টি অটোরিক্সা যোগে এসে ভিকটিমের গতিরোধ করে।
এসময় অজ্ঞাতানামা আসামীরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ভিকটিমকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিশ্চিন্তপুর গজারিবন এর মাঝে নিয়ে যায়।
অপহরণকারীরা ভিকটিমের হাত-পা ও মুখ বেঁধে তার কাছে থাকা নগদ ৩০০ টাকা এবং মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ভিকটিমের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিকটিমের ছেলেকে ফোন করে অপহরণ করার বিষয় জানায় এবং মুক্তিপণ বাবদ ৩০,০০০ টাকা দাবি করেন।
মুক্তিপণ না দিলে ভিকটিমকে খুন করে লাশ গুম করার হুমকি দেয় এবং ১ টি বিকাশ পারসোনাল নম্বর দেয়। উক্ত নম্বরে ভিকটিমের ৭,০০০ টাকা বিকাশ করে।
পরবর্তীতে অপহরণকারীরা মুক্তিপণের আরো টাকা দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে ভিকটিমের ছেলে র্যাব-১, স্পেশালাইজ্ড কোম্পানীর নিকট ভিকটিম উদ্ধারের জন্য সহায়তা কামনা করেন।
এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১, স্পেশালাইজ্ড কোম্পানী বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে দ্রুততার সাথে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার ২৬ জানুয়ারি, আনুমানিক ৯ টা ৫৫ মিনিটে র্যাব-১ এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানাধীন ফাওগান বাজার লতা ফার্মেসীর বিকাশ দোকান হতে মুক্তিপণের টাকা উত্তোলনের সময় অপহরণকারী সাগর দাস (৩০), পিতা-কমল চন্দ্র দাস, জেলা-গাজীপুর’কে গ্রেফতার করেন এবং তার এর দেওয়া তথ্যমতে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানাধীন নিশ্চিন্তপুর গজারিবন এর মাঝে অভিযান পরিচালনা করে আব্দুর রাজ্জাক (৩৩), পিতা-নুর মোহাম্মদ, জেলা-গাজীপুর’কে গ্রেফতার পূর্বক তার নিকট হতে ভিকটিম মোঃ মনজেল আলী (৫৫)’কে উদ্ধার করা হয়।
এসময় ধৃত আসামীদের নিকট হতে ২ টি মোবাইল ফোন, মুক্তিপণের নগদ ৭,৩০০ টাকা সহ সর্বমোট ৭,৮৫০ টাকা, ১ টি অটোরিক্সা ও ১ টি বাটাল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার কৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা একটি সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের সদস্য।
তারা একে অপরের সহযোগীতায় একই উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবত গাজীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা হতে লোকজনকে সু-কৌশলে অপহরন করতঃ আটক রেখে মারধর করে মুক্তিপন আদায় করে আসছে মর্মে স্বীকার করে।
গ্রেফতার কৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।