শিক্ষাগত সনদপত্র জাল করে দীর্ঘ ১০ বছর যাবত বিভিন্ন কোম্পানীতে চাকুরী করছিলেন সুজন

অন্যান্য এইমাত্র

!! অর্থ আত্মসাত করে উধাও অবশেষে পিবিআই এর তদন্তে রহস্য উদঘাটন!!


বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিঃ কোম্পনীতে সিনিয়র মেডিকেল ইনফরমেশন অফিসার পদে কর্মরত আসামী সুজন অপরের শিক্ষাগত সনদপত্র , জন্ম সনদ এবং বায়োডাটায় নিজের ছবি সংযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানীতে চাকুরী করে আসছিল । তার মোবাইল সিমের রেজিস্ট্রিশনও ভূয়া ।

যার কাগজপত্র ব্যবহার করা হয়েছে তিনি প্রকৃতপক্ষে মোঃ মাসুম খান । তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় , রংপুরে সহকারী লাইব্রেরীয়ান পদে কর্মরত আছেন । আসামী মোঃ সুজন ও লাইব্রেরীয়ান মাসুম খান একই মেসে ভাড়া থাকতেন।

একসাথে থাকার সুবাদে কৌশলে মোঃ সুজন লাইব্রেরীয়ান মাসুম খানের অজ্ঞাতে তার শিক্ষাগত সনদপত্র , জন্ম সনদ , বায়োডাটার ফটোকপি সংগ্রহ করে রাখে এবং উক্ত কাগজাদি দিয়ে পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস্ লিঃ কোম্পানী , অপসোনিন গ্রুপ সহ বিভিন্ন কোম্পানীতে চাকুরী করে আসছিল ।

আসামী মোঃ মাসুম খান পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিঃ কোম্পনীতে গত ০১/০১/২০১৭ তারিখ হতে ০৩/০৭/২০২১ তারিখ পর্যন্ত সিনিয়র মেডিকেল ইনফরমেশন অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন ।

উক্ত আসামী বিভিন্ন কেমিস্টের নিকট থেকে ৭,৭২,১৯৪ টাকা নির্ধারিত ডিপোতে জমা না করে উক্ত অর্থ আত্মসাত করে ।

পরবর্তীতে কোম্পানী বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করলে আসামী মোঃ মাসুম খান তার আপন ভাই মোঃ সুবিন ইসলামকে কোম্পানীর ধানমন্ডিস্থ অফিসে নিয়ে আসে এবং মোঃ সুবিন ইসলাম গত ১৫/০৭/২০২১ তারিখে জিম্মাদার হিসেবে ৩০০ টাকার নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকার করেন যে , আগামী ১৫/১০/২০২১ তারিখের মধ্যে তার ভাই আসামী মোঃ মাসুম খান কোম্পানীর সমুদয় ৭,৭২,১৯৪ টাকা পরিশোধ করবেন । পরবর্তীতে কোম্পানী কর্তৃক আসামী বরাবরে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করলেও তারা টাকা ফেরত প্রদান করেননি ।

গত ২১/১১/২০২১ তারিখে জনৈক আজাদ হোসেন , এক্সিকিউটিভ , পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস্ লিঃ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত -১৫ , ঢাকায় এ অভিযোগ করেন।

আদালত অভিযোগটি তদন্তের জন্য পিবিআই ঢাকা মেট্রো ( উত্তর ) কে নির্দেশ প্রদান করেন ।

অ্যাডিশনাল আইজিপি পিবিআই বনজ কুমার মজুমদার , বিপিএম ( বার ) , পিপিএম এর সঠিক তত্ত্বাবধান ও দিক – নির্দেশনায় পিবিআই ঢাকা মেট্রো ( উত্তর ) এর বিশেষ পুলিশ সুপার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম , বিপিএম সেবা এর নিবিড় তদারকীতে পিবিআই ঢাকা মেট্রো ( উত্তর ) তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক ( নিঃ ) মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা উক্ত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে জানতে পারেন , আসামী মোঃ সুজন ( ৩৮ ) পিতা – আব্দুস সাত্তার , মাতা – ইসমোতারা বেগম , সাং – গোকুলপুর , পোঃ পাগলাপীর , ইউঃ হরিদেবপুর , থানা – কোতয়ালী , জেলা – রংপুর পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস্ লিঃ কোম্পানীতে নিজের প্রকৃত নাম পরিচয় গোপন করে জনৈক মোঃ মাসুম খান এর শিক্ষাগত সনদপত্র , জন্ম সনদ এবং বায়োডাটায় আসামী মোঃ সুজন তার নিজের ছবি সংযুক্তির মাধ্যমে পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিঃ এর সিনিয়র মেডিকেল ইনফরমেশন অফিসার পদে যোগদানের জন্য আবেদন করে এবং গত ০১/০১/২০১৭ তারিখে সে উক্ত পদের জন্য নিয়োগ প্রাপ্ত হয় ।

পরে আসামী মোঃ সুজন চাকুরীতে যোগদানের পর হতে মোঃ মাসুম খান এর নাম ধারণ করেই কোম্পানীর একজন সিনিয়র মেডিকেল ইনফরমেশন অফিসার পদে কাজ করে আসছিল ।

চাকুরী করাকালীন সময়ে আসামী মোঃ সুজন বিভিন্ন কেমিস্টের নিকট থেকে পাওনা ৭,৭২,১৯৪ টাকা গ্রহন করতঃ কোম্পানীর নির্ধারিত ডিপোতে জমা প্রদান না করেই গত ০৩/০৭/২০২১ চাকুরী হতে অব্যাহতি দিয়ে আত্মগোপনে চলে যায় ।

পরবর্তীতে কোম্পানী বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করলে আসামী মোঃ সুজন তার কথিত ( ভূয়া ) ভাই সুবিন ইসলামকে কোম্পানীর ধানমন্ডিস্থ অফিসে নিয়ে আসে এবং সুবিন ইসলাম গত ১৫/০৭/২০২১ তারিখে জিম্মাদার হিসেবে ৩০০ টাকার নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকার করেন যে , আগামী ১৫/১০/২০২১ তারিখের মধ্যে সমুদয় টাকা পরিশোধ করবেন ।

আসামীর বিরুদ্ধে ভূয়া কাগজপত্র দিয়ে চাকুরী করে প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে টাকা আত্মসাতসহ অপরের রূপ ধারনের অভিযোগ এনে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল