নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বুধবার ১৬ মার্চ বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উদ্দোগে সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।
তিনি বলেন, “সরকার পুষ্টিসমৃদ্ধ ও নিরাপদ খাদ্য নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা কার্যক্রম হাতে নিচ্ছে।” ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করার জন্য যে জাতের চাল সে নামে ব্রান্ডিং করার জন্য তিনি মিল কারখানা সমিতির প্রতি আহবান জানান। এই গবেষণা পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল খাওয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
উক্ত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. আব্দুল আলীম, সদস্য, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। তিনি তার গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলে দেখান যে, কারখানায় চাল চিকন করা বা পলিশিং করার ফলে এর পুষ্টিমান কমে যায়।
যা ৮% বা তার কম হলে এর পুষ্টিমান বজায় থাকে। এবং চালে পানির পরিমাণ থাকবে সর্বোচ্চ ১১%। স্বীকৃত ধান ব্যতিত অন্য কোন নামে চাল বাজারজাতকরণ করা যাবে না বলে তিনি জোর দাবি জানান।
ভোক্তার অধিকার রক্ষার জন্য তিনি মোড়কের গায়ে চালের জাতের নাম লিখার সুপারিশ করেন তিনি। এতে করে ভোক্তার প্রতারিত হবার সুযোগ কম থাকবে। মানুষকে এ বিষয়ে সচেতন করতে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা করার ব্যাপারে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কাইউম সরকার বলেন, “ধীরে ধীরে প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে সচেতন করে জনগণকে ব্রাউন চাল খেতে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে এবং গবেষণার ফলাফল ছড়িয়ে দিতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কাজ করবে।”
প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিবিসি নিউজের সম্পাদক প্রণব সাহা। তিনি গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলের প্রতিবেদনকে এগিয়ে নিয়ে যাবার আহবান করেন।
এতে চাল উৎপাদন সমিতির প্রতিনিধিবর্গ, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য প্রফেসর ড. আব্দুল আলীম কে আহবায়ক করে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
উক্তি কমিটি চার মাস ধরে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফল সেমিনারে উপস্থাপন করেন।