ঘুষ হিসেবে ঠিকাদারদের দেওয়া ১০ লাখ টাকা মানিকগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী বেল্লাল হোসেনের রূপালি ব্যাংকের একাউন্টে

Uncategorized অপরাধ

!! দুদকের ঢাকা-২ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সালাম আলী মোল্লার নেতৃত্বে অভিযান সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ আদনান অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন !!


বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র রমজান আলীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (বিএমডিএফ) প্রজেক্টের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। জানা গেছে, নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পরও জামানত ও ম্যাচিং ফান্ডের টাকাসহ পাওনা চেয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আবেদন করলে পৌর কর্তৃপক্ষ টালবাহানা করছে। এমনকি ঘুষ দেওয়ার পরও টাকা পাওয়া যায়নি। অভিযোগ যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে গতকাল বুধবার (২০ এপ্রিল) অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে ঘুষ হিসেবে ঠিকাদারদের দেওয়া ১০ লাখ টাকা পাওয়া গেল মানিকগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী বেল্লাল হোসেনের রূপালি ব্যাংকের একাউন্টে। দুদকের ঢাকা-২ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক সালাম আলী মোল্লার নেতৃত্বে অভিযান সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ আদনান অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুদক জানায়, মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র রমজান আলীর বিরুদ্ধে বিএমডিএফ প্রজেক্টের আওতায় সড়ক উন্নয়ন বাবদ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ করা ম্যাচিং ফান্ডের অর্থ প্রদান না করে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার সত্যতা জানতে এনফোর্সমেন্ট টিম সরেজমিনে ওই দপ্তরে অভিযান পরিচালনা করে।
প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে নিম্নমানের কাজের হয়েছে বলে দুদক টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। যাচাইকালে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীর একাউন্টে ঠিকাদারের দেওয়া ১০ লাখ টাকা ঘুষ প্রদানের প্রাথমিক সত্যতা রয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নথিপত্র সংগ্রহ করেছে দুদক। তথ্য-প্রমাণ যাচাই-বাছাই করে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (বিএমডিএফ) প্রজেক্টের আওতায় ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল সড়ক উন্নয়নের দুটি প্যাকেজের টেন্ডার হয়। টেন্ডারে অংশ নিয়ে এক নম্বর প্যাকেজে যৌথভাবে সর্বনিম্ন দরদাতা হয় মেসার্স মা এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স হোসাইন কনস্ট্রাকশন। যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে একই বছরের ২ মে পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ১৪ কোটি ৯৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকার একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পৌরসভার রাজস্ব তহবিলে ম্যাচিং ফান্ড বাবদ ১০ শতাংশ টাকা না থাকায় চুক্তি অনুযায়ী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ওই টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে জমা দেয়, যা চূড়ান্ত বিলের সঙ্গে পরিশোধ করা হবে পৌরসভার রাজস্ব খাত থেকে। কাজ শেষে চূড়ান্ত বিল জমা দিলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বিএমডিএফ কর্তৃপক্ষ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১৪ কোটি ৫৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকা মঞ্জুর করে। জামানত, আয়কর, ভ্যাট, রোলার ভাড়া কেটে রেখে পৌর কর্তৃপক্ষ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে পরিশোধ করে ১১ কোটি ৬৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা।অন্যদিকে জামানত ও ম্যাচিং ফান্ডে দেওয়া হাওলাতের টাকাসহ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পাওনা থাকে প্রায় তিন কোটি ১০ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিএমডিএফ ফান্ডের এক কোটি ৭৫ লাখ টাকা এবং পৌরসভার রাজস্ব ফান্ডের (ম্যাচিং ফান্ড বাবদ) বাকি টাকা। নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর জামানত ও ম্যাচিং ফান্ডের টাকাসহ পাওনা চেয়ে আবেদন করলে পৌর কর্তৃপক্ষ টালবাহানা করতে থাকে।