র‍্যাব – ৯ কর্তৃক চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত দেবর কর্তৃক ভাবী হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার

Uncategorized আইন ও আদালত

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ গত ৯ মে, সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ থানাধীন মৌলিনগর মৌজার একটি জমিতে পূর্ব বিরোধিতার জের ধরে আপন দেবরের হাতে ভাবী সুলেখা বেগম মারাত্নকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন এবং পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার ১৩ মে, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

এই ঘটনায় ১ জনকে আসামী করে সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ থানায় গত রবিবার ১৪ মে, একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি মিডিয়ার মাধ্যমে দেশব্যাপী ব্যপক আলোচনার ঝড় তুলে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আসামীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র‌্যাব-৯ তার গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।

এরই ধারাবাহিকতায় প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত রবিবার ১৫ মে ভোর ৪ টার সময় র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৯, সিপিসি-৩, সুনামগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল সিলেট জেলার কানাইঘাট থানাধীন খুলুরমাটি সাকিনস্থ জয়নাল মিয়ার বসতবাড়ি হতে সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ থানার চাঞ্চল্যকর সুলেখা হত্যা মামলার একমাত্র আসামী মোঃ একরামুল হোসেন (৪০) পিতা- মোঃ মৃত আব্দুল মতিন, সাং- চান্দবাড়ি, ইউপি- ০৫ নং ভীমখালী, থানাঃ জামালগঞ্জ, জেলা- সুনামগঞ্জ’কে মামলা রুজুর ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করে।

উল্লেখ্য, জয়নাল মিয়ার ছেলে আশরাফ হোসেন আসামীর পূর্ব পরিচিত। উক্ত বিশ্বস্ততার সূত্রে আসামী নিজের হত্যা জনিত কর্মকান্ড গোপন রেখে জয়নাল মিয়ার বাড়িতে আশ্রয় গ্রহন করে।

ঘটনার বিবরণ ও গ্রেফতারকৃত আসামীর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ভিকটিম সুলেখা বেগমের স্বামী আকমল হোসেনের পরিবার এবং দেবর গ্রেফতারকৃত আসামী একরামুল হোসেনের পরিবারের মধ্যে জমিজমা নিয়ে পূর্ব বিরোধ ছিল।

উক্ত বিরোধের জের ধরে গত ৯ মে সোমবার সকালে ওই জমিতে সুলেখা বেগমকে ধান শুকাতে দেখে আসামী একরামুল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে তার জায়গা দাবি করে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আসামী উত্তেজিত হয়ে সুলেখা বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধান শুকানোর হাবডা দিয়ে মাথায় প্রচন্ড আঘাত করে।

পরবর্তীতে ভিকটিম সুলেখা বেগমকে গুরুতর আহত অবস্থায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন। ওসমানী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৩ মে ,শুক্রবার সকালে তিনি মারা যান।
পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহন সহ মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতারকৃত আসামীকে জামালগঞ্জ থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


বিজ্ঞাপন