!!দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে গতকাল মঙ্গলবার ৭ টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ৩ টি অভিযান পরিচালনা করা সহ ৪ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে!!
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ বাসা নং- ০৫, রোড নং- ০৩, ব্লক- বি, ঢাকা উদ্যান এলাকার আনুমানিক ৩০ টি অবৈধ তিতাস গ্যাস সংযোগ দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাবে ব্যবহার করে আসছেন এবং তিতাস গ্যাস, ধানমন্ডি অফিস হতে গ্যাস সংযোগ দেওয়া গাড়ি এসে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করে কিছু টাকা নিয়ে চলে যান মর্মে এমন একটি অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য জেসমিন আক্তার, সহকারী পরিচালক এবং মো: আবুল কালাম আজাদ এর সমন্বয়ে গঠিত এনফোর্সমেন্ট টিম গতকাল মঙ্গলবার ২৪ মে,একটি অভিযান পরিচালনা করেছে। টিম প্রথমে উপ-মহাব্যবস্থাপক এর কার্যালয়, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি., বাসা নং-৯/খ, রোড নং-১৩, ধানমন্ডি, ঢাকা অফিসে যায়। উক্ত অফিসে দায়িত্ব প্রাপ্ত ডিজিএম ইঞ্জি: মো. নজিবুল হক এর সাথে অভিযোগের বিষয়ে আলোচনা করে অভিযোগে উল্লিখিত ঠিকানার বাসা এবং ঢাকা উদ্যানের রোড নং-৩, ব্লক-বি এর ৩০ টি বাসার গ্যাস লাইনের সংযোগ এর রেকর্ডপত্র যাচাই করা হয়। যাচাইকালে অভিযোগে উল্লিখিত বাসার অনুকুলে গ্যাস সংযোগ গ্রহণের বৈধ কোন রেকর্ডপত্র পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে দুদক টিম এবং তিতাস গ্যাস এর ৪ সদস্যের একটি টিম যৌথভাবে ঘটনাস্থলে যায়। উক্ত বাসায় পরিদর্শন কালে দেখা যায় যে, বাসাটি তিন তলা বিশিষ্ট, যার প্রতিটি ফ্লোরে তিনটি করে গ্যাসের লাইন রয়েছে । তার মধ্যে দুইটি করে ডবল চুলার লাইন সক্রিয় রয়েছে। বাসার মালিক এবং বাসায় দায়িত্বরত ম্যানেজারের কাছ থেকে গ্যাস বিলের কপি চাইলে তারা দীর্ঘ সময়ে অপেক্ষা করিয়েও রেকর্ডপত্র দেখাতে পারেনি। পরবর্তীতে তিতাস গ্যাস লি: এর প্রতিনিধিগণ দুদক টিমের উপস্থিতিতে বাসার গ্যাস লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এবং দুদক টিম তিতাস গ্যাসের কর্তৃপক্ষ কে উক্ত অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহারকারী গ্রাহকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করে। অপরদিকে উক্ত এলাকার দায়িত্ব প্রাপ্ত তিতাস গ্যাস কোং লি. এর ম্যানেজার এবং সুপারভাইজার সহ অন্যান্য কর্মকর্তা/কর্মচারীদের তথ্য সংগ্রহ এবং উক্ত অবৈধ গ্যাস সংযোগ প্রদানের ক্ষেত্রে যে সকল কর্মকর্তা/কর্মচারী জড়িত রয়েছে তাদের তথ্য সংগ্রহ পূর্বক বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনা বরাবর দাখিল করা হবে।
এলজিইডি, রাউজান, চট্টগ্রাম-এর উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে রাস্তা সংস্কারের কাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে দুদক, জেকা, চট্রগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মোঃ নুরুল ইসলাম এবং আব্দুল মালেক এর সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম আজ আরও একটা অভিযান পরিচালনা করেছে। সরেজমিনে অভিযানকালে রমজান আলী হাট হতে নোয়াপাড়া পথের সংস্কার কাজ GCP-3 প্রকল্পের আওতায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে কাজটি সম্পূর্ণ হয়েছে। কার্যাদেশ মোতাবক কাজের বিল ও জামানতসহ ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করা হয়েছে। হলদিয়া ইউনিয়নের আলীখিল রাস্তায় ৩৮ মিটার ব্রীজের কাজ চলমান রয়েছে। আনুমানিক প্রায় ৯০% কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। এ কাজের ৫-৬ টি চলতি বিলের মধ্যে প্রায় ৮৫% বিল পেমেন্ট করা হয়েছে। ডাবুয়া ইউনিয়নের গণিরঘাট সড়কে ২০ মিটার ব্রীজের কাজ ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে শুরু হয়। ইতোমধ্যে প্রায় ৯৫% কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। সরেজমিনে পরিদর্শন কালে দেখা যায়, গাইড স্ট্যাপগুলো এস্টিমেট অনুযায়ী ১২ মিলি দ্বারা করার করার কথা থাকলেও ১০ মিলি দ্বারা করা হয়েছে।
উক্ত তিনটি প্রকল্পের কাজে গুণগত মান যাচাইয়ের জন্য খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে নিরপেক্ষ প্রকৌশলী দ্বারা কাজের গুণগত মান যাচাই করে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
১ নং বানিয়াচং ইউনিয়ন পরিষদ, বানিয়াচং, হবিগঞ্জ-এর ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও সচিবের বিরুদ্ধে জন্ম সংশোধন বাবদ সরকার নির্ধারিত
ফি’র অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে জনাব মোঃ এরশাদ মিয়া, উপ-পরিচালক (সংযুক্ত), দুদক, সজেকা, হবিগঞ্জ এর নেতৃত্বে আজ ১নং উত্তর-পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদ , বানিয়াচং, হবিগঞ্জে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনাকালে ইউনিয়ন সচিব, ও ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদোক্তা কর্তৃক জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদান ও সংশোধনের জন্য ঘুষ গ্রহণের বিষয়ে রেকর্ডভিত্তিক কোন তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। রেকর্ড পত্র পযালোচনা দেখা যায় যে প্রতিটি জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদানের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি ৫০ টাকা হারে গ্রহণ করা হয়। উক্ত টাকা চালান মোতাবেক ব্যাংকের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান জনাব মিজানুর রহমান খাঁন জানান যে সার্ভার জাটিলতার কারণে জন্মনিবন্ধন সংক্রান্ত সেবা সমূহ নিবিঘ্নভাবে প্রদান করা সম্ভব না হওয়ায় ভুক্তভোগী নাগরিক অভিযোগ করেছেন। এতদবিষয়ে যথাসময়ে সেবা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন মর্মে এনফোর্সমেন্ট টিমকে তিনি আশ্বস্থ করেন। উক্ত অভিযান প্রসঙ্গে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।
এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৪টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
